Jump to ratings and reviews
Rate this book
Rate this book
The First Promise is a translation of Ashapurna Debi’s novel, Pratham Pratisruti , originally published in Bengali in 1964. Celebrated as one of the most popular and path-breaking novels of its time, it has received continual critical acclaim: the Rabindra Puraskar (the Tagore Prize) in 1966 and the Bharitiya Jnanpith, India’s highest literary award, in 1977. Spanning the late eighteenth and early twentieth centuries, Ashapurna tells the story of the struggles and efforts of women in nineteenth-century, colonial Bengal in a deceptively easy and conversational style. The charming eight-year old heroine, Satyabati is a child bride who leaves her husband’s village for Calcutta, the capital of British India where she is caught in the social dynamics of women’s education, social reform agendas, modern medicine and urban entertainment. As she makes her way through this complex maze, making sense of the rapidly changing world around her, Satyabati nurtures hopes and aspirations for her daughter. But the promises held out by modernity turn out to be empty, instigating Satyabati to break away from her inherited world and initiate a quest that takes her to the very heart of tradition.
Indira Chowdhury’s confident translation, with its conscious choice of Indian English equivalents over British and American colloquialisms, carries across the language divide the flavour of Ashapurna’s unique idiomatic style. This edition also includes the translator’s reflections on the process of translation itself.

Kindle Edition

First published January 1, 1964

130 people are currently reading
2565 people want to read

About the author

Ashapurna Devi

132 books154 followers
Ashapurna Devi (Bengali: আশাপূর্ণা দেবী), also Ashapoorna Debi or Asha Purna Devi, is a prominent Bengali novelist and poet. She has been widely honoured with a number of prizes and awards. She was awarded 1976 Jnanpith Award and the Padma Shri by the Government of India in 1976; D.Litt by the Universities of Jabalpur, Rabindra Bharati, Burdwan and Jadavpur. Vishwa Bharati University honoured her with Deshikottama in 1989. For her contribution as a novelist and short story writer, the Sahitya Akademi conferred its highest honour, the Fellowship, in 1994.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
738 (66%)
4 stars
270 (24%)
3 stars
57 (5%)
2 stars
24 (2%)
1 star
19 (1%)
Displaying 1 - 30 of 123 reviews
Profile Image for ~Rajeswari~ Roy.
153 reviews40 followers
March 4, 2022
আশাপূর্ণা দেবীর অত্যন্ত জনপ্রিয় “সত্যবতী”ট্রিলজির প্রথম উপন্যাস প্রথম প্রতিশ্রুতি।এই বইটিতে তিনি ৩ প্রজন্মের প্রথম প্রজন্মের সত্যবতীর উপাখ্যান তুলে ধরেছেন।চিরায়ত ধ্যান ধারনার বাইরে গিয়ে তিনি গ্রামের এক মেয়েকে করে তুলেছেন শক্তিমতী।
সত্যবতীর চরিত্র আসলেই সেই সময়ের হিসেবে অনেক আধুনিক।পড়তে পড়তে কখন যে এত আপন করে ফেলেছি সত্যবতীকে তা বুঝতে পারিনি।লেখিকা যত্নের সাথে সত্যবতীর চরিত্রকে করে তুলেছেন অনন্যা,তার বয়ানে ব্যক্ত করেছেন সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতার বেড়াজালকে।
এলোকেশীর অত্যাচারের কাহিনী আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে যে এত বছর পরেও কি আমাদের উপমহাদেশে শাশুড়ি-বৌ এর সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে কিনা!এই রেষারেষির উৎপত্তি কোথায়?এটা কি শুধুই নিজের ছেলেকে হারানোর ভয় নাকি নিজের অতীত আরেকজনের উপর চাপানো!
রামকালী আর নবকুমারকে আমার একটু মাঝে মাঝে বেশ ভালো লেগেছে।রামকালীর বাড়ির বিধবা মহিলাদের আচার আচরণের বহর আবারো আমার মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।একজন মহিলার স্বামী জীবিত না মৃত তাতে তাকে সারাজীবন যন্ত্রণা কেন ভোগ করতে হবে?মহিলাটি মারা গেলে তার স্বামীও কি তাই পালন করবেন?সত্যবতীর শ্বশুরের দ্বিচারিতা ও পুজোর ভন্ড ভক্তি আপনাকে ভাবাবে।কিছুটা সময় ঘোরের মধ্যে থাকবেন।
সময়ের হিসেবে নিঃসন্দেহে খুবই সাহসী লেখনী।পৃথিবীর সব সত্যবতীরা ভালো থাকুক।
Profile Image for Zunaed.
54 reviews116 followers
February 8, 2017
"যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে,
পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
অজ্ঞানের অন্ধকারে
আড়ালে ঢাকিছ যারে
তোমার মঙ্গল ঢাকি গড়িছে সে ঘোর ব্যবধান।
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।"

বইটা পড়েছি মেলাদিন হল, একদিন দুদিন করে পুরো বছর পার করেছে। এদ্দিন পর কেন রিভিও ঠুকছি? কারণ যখন পড়েছিলাম, তখন রিভিও লেখার মত অবস্থায় ছিলাম না। খুব ভালো লেগেছিল? মোটেই না। বরং উল্টোটা, খুব খারাপ লেগেছিল। মাথায় খুন চেপেছিল, ইচ্ছে হচ্ছিল খুন করে ফেলি এলোকেশীকে, খুন করে ফেলি সে যে সমাজের, ব্যবস্থার প্রতিনিধি সেই সমাজ, সেই ব্যবস্থাকে। পারিনি। না পারার ক্ষোভ আজো আছে।

ত্রয়ী উপন্যাসের দ্বিতীয়টা আজ শেষ করলাম। মনে হল কীবোর্ড চেপে কিছু বকবক ঠুকে রাখি। পারলে সুবর্ণলতা নিয়েও কিছু ঠুকবো। বকুলকথা পড়লেও ঠুকে রাখার ইচ্ছে আছে। তিনটাকে পরে একসাথে দেখবো।

তা প্রথম প্রতিশ্রুতিটা কীসের প্রতিশ্রুতি? কী জানি। আমার ছোটো মাথায় এতো কিছু ধরে না। কেবল রাগ হয়, আর লজ্জা। রাগ হয় সত্যবতীর সত্যকে অপমানিত হতে দেখে, আর লজ্জা হয় আজো আমাদের লজ্জা হয়নি বলে।

প্রথম প্রতিশ্রুতি উপন্যাসটা কী নিয়ে? কেউ বলেন নারীবাদী। কেউ বলেন প্রগতিবাদী। কাউকে কাউকে সমাজের ভিতরের আঁকা ছবি বলতে শুনি। আমার দূর্বল স্মৃতিশক্তি প্রতারণা করলে (ভুল করা যার স্বভাব, ভুল সে না করলে তা প্রতারণা বৈ আর কী?) লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী সম্ভবত ভূমিকায় একে অন্তঃপুরের ইতিহাস বলেছেন। আমার কাছে এগুলোর সবই মনে হয়, আবার কোনোটাই মনে হয় না। আমার মনে হয় এই উপন্যাস একটা দ্বন্দ্বের কাহিনী। দ্বন্দ্ব দুই সময়ের, দ্বন্দ দুই সমাজে, দ্বন্দ্ব দুই দর্শনের, দ্বন্দ্ব স্বাধীনতা আর পরাধীনতার।

আমি ব্যক্তিগতভাবে বর্তমানের চেয়ে অতীতে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি বেশি, হয়তো আমার অতীত বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি মোহনীয় বলেই। কিন্তু আমার মত সবার অতীতকে তো আর মোহনীয় বলা যায় না। বাঙালি নারীর প্রতি পুরুষশাসিত সমাজের শোষণের যে ভয়াবহ ছবি এই বইয়ে দেখেছি, তাতে আমি সৃষ্টিকর্তাকে হাজারবার ধন্যবাদ দিয়েছি, উনি আমাকে ঐ সমাজে নারী বানিয়ে পাঠাননি বলে। কোথাও একে জোর করে আরোপ করা বলে মনে হয়নি, বরং মনে হয়েছে, ছিহ্, আমরাই করছি, করেছি এসব?

আমরা কারা? কেবল পুরুষরা? না। কেবল পুরুষরাই তো আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সন্তান না, নারীদের মাঝেও সে ঢুকিয়ে দেয় পুরুষতন্ত্র। তাই কিছু নারী এই তন্ত্রে নির্যাতিত হন, আর এই নির্যাতন সহ্য করে যারা এই তন্ত্রের ভেতর ঢুকে গেছেন, তারা বাকি শোষকদের সাথে মিলে নিজেরাও শোষণ করতে শুরু করেন নিজের স্বজাতিকে, তাদেরও তৈরি করেন পুরুষতন্ত্রের যোগ্য সন্তান করে।

এই সময়, এই সমাজ, এই পুরুষতান্ত্রিক দর্শনের সাথে আরো আধুনিক, মানবিক এক সমাজ, সময় আর দর্শনের দ্বন্দ্বের গল্প প্রথম প্রতিশ্রুতি। এই গল্প আপনাকে হাসাবে না, আনন্দ দেবে না, দেবে লজ্জা আর ঘৃণা।

যে সত্য সমাজের স্বপ্ন সত্যবতী দেখেছিল, সেই সমাজ কী আমরা আজো পেয়েছি? সম্ভবত না। আজো পোষাকের দোহাই দিয়ে টিএসসিতে নারীলাঞ্ছনাকে বৈধতা দেয়া হয়, আজো তেঁতুলতত্ত্ব দিয়ে আশি বছরের বুড়ো বলে, মেয়ে দেখলে তার জিভ দিয়ে লালা পড়ে। লালা পড়ে বুড়োর, অথচ দায় পড়ে মেয়েদের ঘাড়ে। মেয়েদের ঘরে বন্দী করে রাখার হুকুম দেয় সে, আর সেই হুকুম পালন করতে আর করাতে একবিংশ শতাব্দীতেও হাজার হাজার মানুষ (?) তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যায়। এসব দেখি। একটা সময় চেঁচামেচি করতাম খুব, নিজের ছোট্ট গণ্ডিতে, সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন আর করি না। কিছুতেই কিছু হয় না। কী লাভ করে? তাই পারতপক্ষে এসব খবর এড়িয়ে যাই, তাও কখনও কখনও চোখে পড়ে যায়। যখন পাঁচ বছরের মেয়ের ধর্ষণের খবর পড়ি, এক আদিম আক্রোশে জ্বলে উঠি, নিজের ঘরে বসেই মনে মনে খুন করে ফেলি ধর্ষককে। একটা সময় বাস্তবে ফিরে আসি, হতাশ হই, কারণ হতাশ হওয়াটাই এখন আমাদের একমাত্র কাজ। সত্যবতীর প্রশ্ন তখন মনে জাগে,
"এতো আলো পৃথিবীতে, তবু পৃথিবীর মানুষগুলো এতো অন্ধকারে কেন?"


স্ট্রংলি রিকমেন্ডেড।
Profile Image for Dystopian.
424 reviews217 followers
June 24, 2024
❝ মন রেখে রেখে কী কখনো কারো ‘মন রাখা’ যায়? যায় না। শুধু সেই মনের দাবী আর প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেওয়া হয় মাত্র। ❞

এই গল্প পড়ার আগের আমি আর পড়ার পরের আমি কি সম্পূর্ণ এক? নাকি সত্য আমাকে তার জীবন কথার সাথে সাথে এক করে গল্প টেনে চলেছিল? সত্যিই কি আমার ব্যেক্তিগত জীবনে দৃষ্টিভঙ্গীতে চ্যালেঞ্জিং সিচুয়েশন সত্যর থেকে কেউ কখনো আনতে পেরেছিল এত বাস্তব ভাবে? হোক ফিকশনাল কিংবা জীবনের অতি পরিচিত কোনো চরিত্র।
Profile Image for Aishu Rehman.
1,078 reviews1,046 followers
August 10, 2020
আপাতত ঘোরের মধ্যে আছি। ঘোর কাটলেই রিভিউ লেখার দুঃসাহস দেখাবো। পারব কী না জানি না। সুবর্ণলতা পড়ার জন্য মন আনচান করছে। কিন্তু হাতের কাছে নেই। কেমনডা যে লাগে 😈।
Profile Image for Shuk Pakhi.
498 reviews278 followers
August 5, 2021
সত্যবতী রামকালী কবিরাজের একটু বেশি বয়সে জন্মানো একমাত্র কন্যা। যদিও তিনি রাশভারী মানুষ তবুও গ্রামপ্রথা ও হিন্দুপ্রথা মান্য করে গৌরীদান করেছিলেন। তবে ছেলেপক্ষ থেকে কথা আদায় করে নিয়েছিলেন সত্য ১২ বছর বয়স পর্যন্ত বাপের সংসারেই থাকবে।

কিন্তু সত্যর শাশুড়ীঠাকুরুন গোল বাঁধালেন। তার ছেলেবউকে চাই নয়তো ছেলের অন্যত্র বিবাহ দিয়ে ঘরে বউ আনবেন। রামকালী বি���লিত হওয়ার মানুষ নন এক্ষেত্রেও হলেন না। সত্যই বরং বাপকে বুঝিয়ে শশুরঘর চললো।

এরপর কত জলই গড়ালো গঙ্গায়.... সত্যর বর নবকুমার কলকাতায় চাকরি পেয়ে বাসা নিয়ে সেখানে সত্যকে নিয়ে সংসার পাতলো। একে একে তাদের সংসারে তিনটি ছেলেমেয়ের আগমন ঘটলো।

শুধু এই তিনজন কেন বলি! এই এক জীবনে সত্য কি কম মানুষ দেখলো? কম জানলো? কম বুঝলো? কম চিনলো?
তবুও চেনা আর হলো কই! জানাই বা হল কতটুকু! মানুষ কি চেনা যায় গো!

সত্য ঝাঁকের কই হয়ে জন্মায়নি। সে যে একটু আলাদা গোত্রের। তার দেখার চোখ যে আলাদা, তার মনের গড়ন আলাদা, তার মমতা দেখানোর ধরনও যে আলাদা।

এই আলাদাটুকুকে বুঝার জন্য কি ভগবান আরো গুটিকয়েক আলাদা ধরনের মানুষ গড়ে দিতে পারতেন না সত্যর আশেপাশে। তবে ত শতেক লোকে ভুল বুঝলেও কেউ কেউ অন্তত বুঝতে পারতো সত্যর মনকে।

ব্যাপওওওওওক ভালো লাগছে বইটা। এমন বৃহৎ কলেবরের বই বরাবরই ভালো পাই। ২য় পার্ট জলদিই শুরু করে দিবো।
পড়া শেষ করে বইটা পড়ার জন্য নিজেরেই একটা থানকু দিয়ে দিলাম। 😁
September 14, 2023
প্রথম প্রতিশ্রুতি, উপন্যাসটি পড়তে আমার খুব ভালো লেগেছে, উপন্যাসটি তুলনামূলক বড় কিন্তু পড়তে একটু ও বোরিং লাগে নি।আশাপূর্ণা দেবীর লেখা, আমার আগে পড়ার সু্যোগ হয়নি।কিন্তু এই উপন্যাসটি পড়ে তার অন্য সৃষ্টি গুলোর স্বাদ নেয়ার ইচ্ছা হচ্ছে।এই তো গেল নিজের কিছু কথা এইবার উপন্যাস নিয়ে কিছু বলা যাক-
সত্যবতী, এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র।উনিশ শতকের নারীদের অবস্থান এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়ছে,যেখানে মেয়েরা উপেক্ষিত অবহেলিত সেখানে সত্যবতী কে লেখিকা এক বলিয়ান মহীয়সী নারী হিসেবে তুলে ধেরেছন।সত্যের বাবা কন্যার গৌড়ী দান করেছিলেন, সত্য নেহাৎ ছোট হওয়ায় কিছুদিন বাবার বাসায় অবস্থান করেছিল এই সময় থেকে সে দুরন্ত এক মেয়ে।সত্যবতীর বাবা প্রতাপশালী একজন ব্রামণ যদি ও পেশায় কবিরাজ। এই জন্য তার জাত যাওয়া নিয়ে সমাজে প্রশ্ন উঠেছিল কিন্তু তার টাকার দাপটে তা আর ধোপে টিকে নি।তার প্রভাব অর্থ দেখে হিন্দু সমাজের মাথা তার মেয়ের সাথে যথেষ্ট বয়স্ক রামকালির(সত্যের বাবা) বিয়ে দেন।সত্য তার বৃদ্ধ বয়সের একমাত্র কন্যা যাকে সে অতিশয় স্নেহ করেন।সত্যবতীর বাবার বাড়ি বিশাল,বাড়ির একপাশে বিধবাদের ঘর,তাদের হেঁশেল ও আলাদা।লেখিকা সেসময় হিন্দু সমাজের বিভিন্ন প্রথা এবং হিন্দু মেয়েদের এবং বিধবাদের যে দৈনতা -কষ্ট তা তুলে ধরেছেন। কোন কারণে যদি কোন মেয়ের স্বামী মারা যায় তাকে সহ্য করতে হয় আমৃত্যু যন্ত্রণা।
যেখানে মেয়েদের হাজারো বাঁধা সেখানে
সত্যবতী সেসকল নিয়ম কে কাঁচকলা দেখিয়েছে। লেখাপড়া শিখেছে চুপিচুপি এমন কী ছড়া রচনা করেছে যা তখনকার সমাজের চোখে ঘোর অন্যায়।
সময় আসে,সত্য কে শ্বশুর বাড়ি যেতে হয়,বুকে পাথর রেখে তার পিতৃগৃহ ত্যাগ করতে হয়।তার শাশুড়ী খুব জেদি বদ মেজাজী সে সত্য কে বশ করতে চাই,কিন্তু সত্যবতী কে বশ করা এত সহজ না।বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সময় এগিয়ে যায়,সত্যবতী নিজের অস্তিত্ব নিজের সংসার বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছে।মানুষের সব সময় এক থাকে না সময়ের ব্যবধানে সত্যবতী দু ছেলের মা হয়।সে চাই তার ছেলেরা লেখাপড়া শেখে মানুষ হোক,তাই সকলের কুমন্ত্রণা কে নস্যাৎ করে সে তার স্বামী নবকুমারের সাথে কলকাতা আসে,এখানে এসে সত্যের নতুন জন্ম হয়,সে লেখাপড়া শেখে এবং একসময় সত্য চুপচুপ করে পাঠশালায় পড়ানো শুরু করে।কিন্তু মানুষের সব দিন এক যায় না।আর মেয়ে হয়ে জন্মালে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সবাই কে,সত্য তার ব্যতিক্রম না।বেশ বয়স করে
সত্যের মেয়ে হয়,সে চেয়েছিল তাকে লেখাপড়া করিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে,তার জীবনের অপূর্ণতা গুলো পূরণ হবে তার মেয়ে কে দিয়ে।কিন্তু তার বর নবকুমার তার শাশুড়ী এলোকেশী সব নষ্ট করে দেয়,তার অজান্তে তার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয়।
এত কিছু দেখার পর সত্যবতী নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারে নি।সে এই সংসারের মায়া ত্যাগ করে,চলেছে তার বাবা রামকালির কাছে, তার মনে যে অনেক প্রশ্ন!!
#আমরা নারীরা আজ হয়তো অনেক এগিয়ে গেছি কিন্তু আমাদের এই এগিয়ে যাওয়ার পথ এত মসৃণ ছিল না কখনো। অতীতে কিছু সত্যবতীর ন্যায় নারীর হাত ধরে আজ নারী জাগরণ সম্ভব হয়েছে।যুগে যুগে সত্যবতীরা জন্ম নেক,আর তারা তাদের আশেপাশের মেয়েদের জীবনে আলো নিয়ে আসুক,কারণ সত্যবতীরাই তো নতুন দিনের দিকনির্দেশক। 🤲🤲🤲
Profile Image for Ayesha.
116 reviews35 followers
October 16, 2023
"এতো আলো পৃথিবীতে, তবু পৃথিবীর মানুষগুলো এতো অন্ধকারে কেন?"
৫২৫ পৃষ্ঠার একটা ব‌ই। যদিও যথেষ্ট না। তাও মনে হ‌ইতেছে, এ গল্প গুলো এভাবে শেষ করে দেয়া যায় না। আরো অনেক কিছু বলার থেকে যায়, করার থেকে যায়।
যাই হোক, ব‌ই‌টা শেষ করার পর মনে হ‌ইতেছে, দিনে দিনে সত‍্যবতী আসছে বলেই আমি নিজেকে খুব সহজেই "মেয়েমানুষ" না, "মানুষ" বলে ভাবতে পারতেছি।
Profile Image for Nu Jahat Jabin.
149 reviews239 followers
December 2, 2016
আমি রেটিং দেওয়াতে খুব একটা ভাল না। উদার হস্তে রেটিং দিতে পছন্দ করি।যে বই হয়ত কারো কাছে ভাল লাগে নি সেটা পড়ে ভাল লাগার কারনে ৫/৫ রেটিং দিয়ে বসে থাকি।
কিন্তু এই বইটা উদার হস্ত ছাড়াই ৫/৫ রেটিং ডিজার্ভ করে।
Profile Image for সারস্বত .
232 reviews132 followers
October 22, 2024
আঠারো এবং উনিশ শতকের প্রেক্ষাপটে লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী তাঁর ত্রয়ী উপন্যাসের প্রথম বই প্রথম প্রতিশ্রুতিতে তৎকালীন সমাজ এবং ধর্মীয় ব্যবস্থাপনায় অদ্ভুত এক প্রাণীর অস্তিত্বের কথা ব্যক্ত করেছেন। যাদের অবয়ব, অনুভূতি, আবেগ সবকিছু মানুষের মত হলেও তাদের খানিকটা ভারবাহী পশুর মত ব্যবহার করত পুরুষ শাসিত সমাজ। সেই অদ্ভুত প্রাণিটির নাম ছিল নারী। নির্মম হলেও সত্যি তৎকালীন নারীদের প্রতি পুরুষ সমাজের আচরণ আর যাই হোক মানবিক ছিল না। হাজার বছরের মরীচা ধরা সংস্কারের শেকলে নারীরা যখন মানুষের সম্মান পায়নি তখন নিত্যানন্দপুর নামক অজপাড়া গায়ে একটি এগারো বছরের শিশুকন্যা সেই সংস্কারের শেকলে কষাঘাত করে, জানিয়ে দেয় আমরাও (নারীরা) মানুষ। আর নারী থেকে মানুষ হবার সেই শিশুকন্যার সারা জীবনের অপরাজিত সংগ্রামের গল্প নিয়েই রচিত হয়েছে প্রথম প্রতিশ্রুতি।


সত্যবতী!! হ্যা সেই এগারো বছরের শিশুকন্যাটির নাম ছিল সত্যবতী। পিতা নিষ্ঠাবান ব্রাক্ষ্মণ রামকালী কবিরাজ একমাত্র সন্তান সত্যবতীকে আট বছর বয়সে বিয়ে দিয়ে গৌরীদানের পূণ্য অর্জন করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের পরেও সংসারবদ্ধ হবার উপযুক্ত বয়সের অপেক্ষায় সত্যবতী পিতার কাছেই ছিল। বাল্যকাল থেকে সত্যবতী তার নামের প্রতি সুবিচার করেছিল। নির্মমভাবে সত্যকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে কখনো কার্পণ্য করেনি। শারীরিকভাবে অবোধ সত্যবতী মানুষের মানসিক সূক্ষ্মতা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জন করে অনেক ছোট বয়সেই।

বইটির প্রথম কয়েকটি পরিচ্ছেদে সত্যবতীর পিতা রামকালীর বলিষ্ঠ বিচরণে তাঁকে এই গল্পের প্রধান চরিত্র মনে হতে পারে। কারণ সত্যবতীরর জীব��ে আকাশে পিতার নামের নক্ষত্রটি ছিল সবথেকে উজ্জ্বল। পিতা কবিরাজ রামকালী নিজের পরিবারে শত মানুষের জন্য ছিলেন ভরসার আর গ্রামের সহস্র অসহায় মানুষের জন্য ছিলেন আশ্রয়ের স্থল। তারপর শৈশবের বাঁধন ছিন্ন হয় সত্যবতীর। একদিন শ্বশুরবাড়ি থেকে ডাক আসে। পিতা রামকালী কন্যাকে পাঠাতে না চাইলেও পিতার সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সত্যবতী সব মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে চললো শ্বশুরবাড়ি।

শ্বশুরবাড়ি এসে সত্যবতী হলো দিশেহারা। যেমন লোভী, মনুষ্যত্বহীন শ্বাশুড়ী এলোকেশী তেমন লালসাগ্রস্থ শ্বশুর নীলাম্বরকে দেখে সত্যবতী প্রতি পদে পদে হয়ে দাঁড়ায় তাদের অসন্তোষের কারণ। তবে স্বামী নবকুমার ছিল যেন মাটির মানুষ। তাই তো তাঁকে বার বার ভেঙ্গে বার বার গড়ে নিতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি সত্যবতীকে। সময়ের পরিক্রমায় সামাজিক রূপ বদল হয় সত্যবতীর। কন্যা থেকে স্ত্রী আবার স্ত্রী থেকে মা। নতুন রূপে নতুন ব্যক্তিত্বে নিজেকে সাজিয়ে নিতেও ভুল হয় না সত্যবতীর। সন্তানদের সুশিক্ষায় আলোকিত করতে নবকুমারকে নিয়ে কলকাতায় পারি দেয় সত্যবতী। কলকাতায় এসে সত্যবতী যুদ্ধ শেষ হয় না বরং শুরু হয়।

সত্যবতীর দূর সম্পর্কে বিধবা আত্নীয়া শঙ্করী সংস্কারকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে শেষ রক্ষা করতে পারেনি। গর্ভ অবস্থায় রেখে শঙ্করীর দ্বিতীয় স্বামী তাঁকে রেখে পলায়ন করে। সেই শঙ্করীর মেয়ে সুহাসিনীকে নিয়ে আশ্রয় হয় সত্যবতীদের ভাড়াকৃত বাড়ির মালিক দত্তদের বাড়িতে। শঙ্করীর মৃত্যুর পর সত্যবতী সুহাসকে নিয়ে আসে। সমাজে যাকে পাপের সন্তান বলে ধীক্কার দিতে ছাড়ে না সে সত্যবতীর কাছে বুকের সন্তানের মত প্রতিপালিত হয়। তারপর একদিন সত্যবতী আবার মাতৃত্বের ছোঁয়া লাভ করে। সাধন সরলের পরে এবার একটি কন্যাশিশু কোলজুড়ে আসে সত্যবতীর। নাম সুবর্ণলতা। সহস্র সংগ্রামে ক্লান্ত সত্যবতী জীবনের সবথেকে বড় স্বপ্নটি দেখতে শুরু করে। নিজের কন্যাটিকে শিক্ষিত করা, যা সমাজের চোখ মহাপাপ। কিন্তু হোক পাপ। সেই পাপের মাঝেই সত্যবতী সুবর্ণলতার জন্য জীবনের আলো এনে দিতে চেয়েছিলো।

কিন্তু পেরেছিলো কি সত্যবতী? স্বপ্ন পূরণ করতে? নারীদের নিয়ে সমাজে যে পুতুলখেলা হয় সেই খেলা থেকে নিজের প্রতিচ্ছবি নিজের কন্যাকে রক্ষা করতে?
জানতে হলে পড়তে হবে সমগ্র অখন্ড ভারতের সবথেকে সম্মানজনক পুরস্কার পাওয়া প্রথম প্রতিশ্রুতি বইটি।

ব্যক্তিগত অভিমতঃ

তোমার মমতা-মানিক আলোকে চিনিনু তোমারে মাতা তুমি লাঞ্চিতা বিশ্ব-জননী!
তোমার আচল পাতা নিখিল দুঃখী নিপীড়িত তবে,
বিষ শুধু তোমা দহে যথা তব মাগো পীড়িত নিখিল ধরনীর ভার বহে।

হ্যা নারীর সবথেকে সুন্দর রূপটি হলো জননী। কিন্তু ভারত নামের মহাভূমিতে মাটির জননীর পূজা হলেও রক্ত মাংসের জননীদের সামনে কখনো শ্রদ্ধার নৈবদ্য অর্পণ করা হয়নি। কিন্তু জননীরা সেই শ্রদ্ধার কাঙ্গালিনী হয়ে থাকেননি। হাজার বছর ধরে বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে সংসারের জন্য। প্রতিদান চাননি কখনো, প্রতিদান কেন চাইতে হয় তাও শেখেননি। সত্যবতীর কাহিনী শোনার পরে আমার মাতামহীর কথা মনে পরে যায়। আমি উনাকে কখনো বাড়িতে বিশ্রাম নিতে দেখিনি। প্রতিটা মূহুর্তে তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ কাজ করে চলেছেন পরম মমতায়। কখনো কোন অভিযোগ নেই। উনাদের গ্রামে কখনো কোন সত্যবতী জন্ম নেয় নি। তাহলে উনাদের গল্পটাও হয়তো আলাদা হ'তো। কি জানি!!

হাজার বছর ধরে লক্ষ মায়েদের সংসারকে আগলে রাখার ক্লান্তহীন সংগ্রাম জড় করে যদি দেখি তাহলে কেন এই পৃথিবী এর মায়াময় হয়তো সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবো। সত্যবতীর গল্পে লেখিকা সেই সব অবহেলিত সংগ্রামের কথা বলছেন আর বলেছেন সত্যবতীর কথা যে বা যারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে নারীত্ব ছাড়া মনুষ্যত্ব অপূর্ণ, অর্থহীন।
Profile Image for Sucharita.
155 reviews9 followers
November 1, 2012
The story of a young girl from rural bengal who is very conscious of her right to live and be respected. A rebel, she can face her venerable father, whom she adores, and point out his mistake. A fighter for truth and her search for the meaning of a Woman's life. Her struggle to educate her daughter and the protest when she is thwarted in this by her husband and mother in law. A strong and courageous character who we all admire but would rather not have in our own families.
Profile Image for প্রিয়াক্ষী ঘোষ.
354 reviews32 followers
June 3, 2023
বাংলার নবজাগরণের প্রভাব তখনও শুরু হয়নি, আভাস হয়তো পাওয়া গেছে তবে, নবজাগরণের এই দূর সময়টাতে বাংলা নারীদের মনে ও কাজে একটা বিক্ষোভ, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার একটা সম্ভাবনা অঙ্কুরিত হয়েছিল অন্দরমহলে থেকেই তারই এক জ্বলন্ত দলিল এই " প্রথম প্রতিশ্রুতি "। উপন্যাস টিতে বলিষ্ঠ হয়ে ফুটে উঠেছে সত্যবতী নাম চরিত্রটি, যে সব সময় স্রোতের বিপরীতে চলেছেন।


সত্যবতীর জন্মের পূর্বের কাহিনি দিয়েই এই উপন্যাসের শুরু।
পিতা রামকালী চাটুয্যে একজন সৎ, আদর্শ, কর্তব্যপরায়ণ, পরোপকারী, রাশভারী পুরুষ।
যিনি সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন।রামকালী মশাইয়ের একমাত্র কন্যা ছিল এই সত্যবতী।

আট বছরের এক প্রাণোচ্ছল, দুরন্ত, জেদী, যুক্তিতর্কে পারদর্শী, কৌতুহলী মেয়ে সত্যবতী।
যার বিয়ে হয়ে যায় বছরখানেক আগে। কিন্তু বিয়ের সময়ের কথা অনুযায়ী বারো বছর না হওয়ায় কিশোরী সত্যবতীকে নিজগৃহে রেখে দেন। তবে বারো বছর না পূরণ হতে শ্বশুর বাড়ি থেকে সত্যবতীকে নিতে আসে।
ছোট মেয়ে, বয়স বারো বছর হয়নি, এই অজুহাতে মেয়েকে রেখেদিবেন, না কি শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দিবেন মেয়েকে?
এই সময় থেকেই সত্যবতীর পূর্ণ রুপে প্রকাশ ঘটে উপন্যাসে।

উপন্যাস টা একটা সময়ের নিখুঁত পূর্ণ একটা দর্পণ। সেই সময়ের সমাজের সংস্কার ও কুসংস্কার গুলো ফুটে উঠেছে এখানে। সাথে সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এক নারী চরিত্রের তীব্র প্রতিবাদ যা সেই সময়ে দাঁড়িয়ে কল্পনা করাও কঠিন।
Profile Image for Madhulika Liddle.
Author 21 books532 followers
September 7, 2019
In rural Bengal in the late 1800s, a wealthy doctor named Ramkali marries off his eight-year old daughter Satyabati ‘Satya’, in a ritual known as gauri-daana. This is nothing unusual; in fact, far from it—it would be outrageous to have Satya unmarried at eight.

Satya, however, is an unusual girl. Feisty and quick-witted, unafraid to speak her mind, she is a girl who grows into an equally strong-willed woman. The way Satya takes charge of her life, insists on breaking the shackles of worn-out custom, embraces education—and yet, does not become a complete non-conformist—is what The First Promise is about. This is a long story, spanning close to forty years in Satya’s life, and with a huge cast of characters, including those of Satya’s sprawling childhood household, those of her husband Nabakumar’s (relatively smaller) household, and sundry others who have an impact on the life of Satya and her immediate family, especially the progressive teacher, Bhabhatosh-Master, and Nabakumar’s cousin Saudamini ‘Sadu’. Plus, of course, there towers over them all, even when he’s not physically present, Satya’s father, Ramkali.

The story follows these people as they marry, die, move from the village to the city, travel. As they change, as they remain the same. As the milieu itself changes.

Besides the fact that the story-telling is top-notch (I have rarely come across such a fat book that had me so deeply engrossed through all of it), there’s the brilliant characterization: Ashapurna Devi’s characters, all the way from Satya herself to Ramkali, from Satya’s timid husband Nabakumar to her shrewish mother-in-law Elokeshi, from Nitai to Suhash to Sadu… they’re all very real people. No-one is out and out villainous (Elokeshi comes close, though!), no-one is a complete paragon. Satya herself, especially in her younger and more immature years, is often too impetuous for her own good.

Equally importantly, Ashapurna Debi brings to life Bengal at an important point in history: when a reform movement, spearheaded by visionaries like Raja Rammohan Roy and Keshab Chandra Sen, was slowly beginning to change society. ‘Slowly’ is the qualifier here, because Debi shows us the usually quaint but sometimes grotesque traditions and customs that were then so deeply entrenched in life that few people could imagine a different way of life: getting rid of this baggage was to take a long time. Casteism, the position of women (and of widows in particular), the stigmas attached to widowhood, to losing caste, to being educated, even: most of these had been tamed to some extent by the time Ashapurna Debi wrote Pratham Pratishruti in the 1960s, but she conjures up a different world, a different set of norms, with consummate skill.

And yes, Indira Chowdhury does a very good job of the translation, as far as I can tell (I haven’t read the original): for one, her English is impeccable, for another, she does not insist on translating every single term. By retaining words for various rituals, foods, and so on, she helps weave a ‘Bengali-ness’ into the translation that I loved. (For the sake of convenience, Chowdhury provides a glossary at the end of the book).

A superb book, and highly recommended. Do please also read Chowdhury’s prefaces to the book, because they offer interesting insights into The First Promise. It would be a better idea to read these after you’ve read the book, because they tend to give away part of the plot.
Profile Image for Hridi.
19 reviews22 followers
September 21, 2024
প্রথম প্রতিশ্রুতি :    আশাপূর্ণা দেবীর 'প্রথম প্রতিশ্রুতি' বাংলা সাহিত্যের একটি অন্যতম অনবদ্য এবং গভীর লেখা। এই উপন্যাসটি পারিবারিক বন্ধন, নারী মুক্তি, এবং সামাজিক কুসংস্কারের  মধ্যে সংঘাতের এক চিত্র তুল��� ধরে।

রামকালী গ্রামের গণ্যমান্য কবিরাজ এবং সত্যবতী তার একমাত্র মেয়ে।  ছোটোবেলা থেকেই সে খেয়াল করেছে সবার চেয়ে আলাদা তাঁর সত্যবতী। নিজের চেষ্টায় সবার চোখের আড়ালে পড়তে এবং লিখতে শিখে যায় সত্যবতী অথচ তখনকার সমাজে মেয়েদের জন্য পড়াশোনা ছিলো মহাপাপ। বইটিতে সত্যবতীকে আগাগোড়া একজন দৃঢ় এবং স্বাধীনচেতা নারী হিসেবে দেখা যায়। সে কখনোই সমাজের প্রচলিত অন্যায় বা কুসংস্কারের সাথে আপোষ করে না।

প্রথম প্রতিশ্রুতি' কেবল একটি উপন্যাস নয়, বরং এটি একটি যাত্রা। সত্যবতীকে অনুসরণ করে আমরা উপলব্ধি করি যে, সত্যিকারের শক্তি আমাদের নিজেদের ভিতরে থাকে। আশাপূর্ণা দেবীর এই কাজ আমাদের নারীদের সামাজিক অবস্থান ও শিক্ষা বিষয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।

সামগ্রিকভাবে, 'প্রথম প্রতিশ্রুতি' একটি শক্তিশালী সাহিত্যকর্ম, যা না শুধুমাত্র একটি কাহিনী বর্ণনা করে বরং আমাদের চিন্তার গভীরে প্রবেশ করতে বাধ্য করে। গল্পের শুরু হয় বাল্যকালে রামকালীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার মধ্যদিয়ে এবং শেষ হয় সত্যবতীর প্রথম প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হওয়ার মাধ্যমে। কিন্তু কী ছিলো সত্যবতীর সেই প্রতিশ্রুতি?
Profile Image for Musharrat Zahin.
392 reviews484 followers
March 8, 2021
"এতো আলো পৃথিবীতে,তবুও পৃথিবীর মানুষগুলো এত অন্ধকারে কেন?"

তিন প্রজন্মের কাহিনীর প্রথমটি হলো 'প্রথম প্রতিশ্রুতি', যা প্রথম প্রজন্ম সত্যবতীকে নিয়ে। প্রায় এক শতক আগের একচেটিয়া পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর স্বাধিকার অর্জনের চেষ্টায় প্রায় জীবন উৎসর্গ করা সত্যবতীর জন্ম, শৈশব ও পরবর্তী জীবন নিয়ে এই উপন্যাস।

বইটা পড়ে যে কত বেশি মুগ্ধ হয়েছি, তা লিখে বোঝাতে পারবো না। সুখপাঠ্য তো বটেই! সেই সাথে গল্পের গাঁথুনি অসম্ভব সুন্দর আর এত প্রাঞ্জল প্রতিটি ঘটনা! আর লেখনীর জোরে গল্পের চরিত্র ও ঘটনা শুধুমাত্র বই এর পাতায় বন্দী না থেকে একদম চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। সেকালের বাংলার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, সমাজব্যবস্থা এবং অন্দরমহলের জীবন, মেয়েদের প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হতে হওয়া সমস্ত প্রতিকূলতার যে অতুলনীয় চিত্র লেখিকা পরিবেশন করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।

এটা সত্যের গল্প। অপ্রতিরোধ্য, দুর্দমনীয়, নির্ভীক, স্নেহপরায়ণ, অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর আত্ববিশ্বাসী একজন নারীর গল্প। সত্য ছোট বেলা থেকেই সবার থেকে আলাদা, ছোট্ট সত্যের মনে অনেক প্রশ্ন। এই পৃথিবীতে মেয়েমানুষ যদি এতো ফেলনাই হবে তবে এতো যত্নে বিধাতা গড়েন কেন মেয়েমানুষ? পুরুষমানুষ নিজের বউয়ের গায়ে হাত তুলে কেনই বা পরদিন সেই মারের দাগের উপর ভালোবাসায় হাত বুলাতো? কিংবা সংসারে সতীন আসা যদি স্বাভাবিক হয়, সতীন যদি বোনের মতোই হয় তবে এই সতীন কাটা তোলার পুজোই বা এলো কোত্থেকে? সত্যবতীর সত্য সন্ধান, চলাফেরা তাকে তার যুগ অসামাজিক, অযোগ্য, অযৌক্তিক বলে আখ্যা দেয় । সত্যকে বোঝার মতো মানুষ খুব কমই। তাও সত্য তাঁর সত্যানুন্ধান চালিয়ে যায়। তাঁর ভাবনাচিন্তার জগৎ সম্পূর্ণ আলাদা। সত্যবতীর জীবনের আদর্শ ছিল তাঁর বাবা। তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা, সাহসী চিন্তা ভাবনা, জেদী মনোভাব, সবকিছুতেই তাঁর বাবার নীরব সমর্থন ছিল। মেয়ের বিচার-বিবেচনার ক্ষমতা দেখে তাঁকে রামাকালী বেশ সমীহই করতেন, চেয়েছিলেন সত্য পড়াশোনা শিখুক। তবুও এই সমাজের নিয়মের বেড়াজালে আটকে পড়ে মাত্র ন'বছর বয়সেই শ্বশুরবাড়িতে চলে আসে সত্য। ভিন্ন এক জীবনের শুরু, নতুন নতুন দায়িত্ব, নতুন সম্পর্ক। শ্বশুরবাড়ির মানুষজনের সাথে সত্যের প্রায়ই ঝামেলা বাঁধতো। সত্যের দোষ? সে তো নারী স্বাধীনতা খুঁজছিল।

সেই সত্যবতীর সবচেয়ে বড় পরাজয় ছিলো মেয়ে সূবর্নলতার বিয়ে। যেটা ছিল স্বামী নবকুমার আর শাশুড়ি এলাকেশীর সত্যবতীর প্রতি প্রতিশোধ! উপন্যাসের শেষটা মনমতো হয়নি। কেন সত্য সুবর্ণকে ফিরিয়ে আনলো না? কোথায় গেলনবকুমারকে ধরে দুটো চড় মারতে ইচ্ছে করছিল। সত্যবতীর স্তম্ভিত হয়ে নীরব হাহাকার খুব কষ্ট দিচ্ছিল।

আসলে এই গল্প শুধু সত্য'র নয়। এই গল্প সুহাসের, এই গল্প মোক্ষদার, ভুবনেশ্বরীর, সদুর, এমনকি এলোকেশীরও! এ গল্প সব মেয়েদের। এই গল্পটি এত আলোর পৃথিবীতে অন্ধকারে থাকা মানুষগুলোরও বটে। আজও কি আমাদের সমাজে নারীদের অন্তঃপুরের অবস্থান আর মানসিকতার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য চোখে পড়ে?

সত্যের সারাটি জীবন কেটে গিয়েছিলো অদ্ভুত এই সমাজের প্রত্যেকটা নিয়মকে যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করতে করতে। কিন্তু সে কি তাঁর প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়েছিল?
Profile Image for Sahadat Hossain.
82 reviews26 followers
November 2, 2019
পুরো উপন্যাসটা পড়ে একটা কথাই মনে হচ্ছিলঃ আমার মা যদি সত্যবতীর মত হত!

সত্যবতীর গল্প কয়েকশ বছরের পুরোন। কিন্তু সেই সমাজ টা কি আদৌ পুরোন?
সত্যবতী নেই এখন হয়ত, কিন্তু রয়ে গেছে এলোকেশীরা...
সৌদামিনী, ভাবিনী, ভূবনেশ্বরী এরা এখনো বেঁচে থেকেও মরে যাচ্ছে প্রতিদিন।

আর পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছে সুবর্নলতা-দের। জানিনা কি হবে সুবর্নলতার।।
হয়ত তার মায়ের মতই হবে, কিন্তু কিভাবে হবে? মায়ের কাছ থেকে কিছু শিখে নেয়ার আগেইতো এলোকেশীদের হাতে জীবন্মৃত হতে হল।

সত্যবতীর কথায় আমার আরো একজনের কথা মনে পড়ে...
সে যেন ভবিষ্যতে সত্যবতী হয়ে উঠে!
কোন এলোকেশীর পাঁকে যেন বাঁধা না পড়ে।
Profile Image for Ësrât  Járïñ.
509 reviews83 followers
December 22, 2018
আশাপূর্ণা দেবীর অন‍্যতম অনবদ্য সৃষ্টি , পড়ার পর ও রেশ থেকে যায় অনেক সময় ধরে
Profile Image for Rizia.
9 reviews46 followers
July 14, 2021
মোটামুটি দৌড়ে শেষ হয়ে গেল বইটা কিভাবে যেন। শেষটা আরেকটু তাড়িয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিল তবে নেশার ঘোরে যেন ছাড়তে পারলাম না।

পড়ছিলাম আর শিউরে উঠছিলাম। এত গলা টিপে শ্বাসরোধ করা একটা সমাজে কেউ কিভাবে বাঁচে তা চিন্তা করে। পদে পদে আচার-নিরাচারের শেকল। মেয়ে হয়ে জন্মানো যেখানে আজন্ম পাপ। তার চেয়েও বড় পাপ চিন্তা করতে শেখা। আবার থেমে থেমে ভাবছিলাম, মেয়েদের চিন্তার পরিসর হয়তো অনেক অনেক বেড়েছে, কিন্তু বাইরের খাঁচাটা সে তুলনায় খুব কি? এখনো কি সত্যবতীর মত একটা মেয়েকে সমাজ খুব সহজে গ্রহণ করতে পারে? অসামান্য বুকের পাটা আর সৎসাহস মেয়েদের জন্য দোষ নয় গুণ বলে মনে করে?

পড়তে পড়তে সমরেশের দীপাবলির কথা বারবার মনে হচ্ছিল যদিও দুই চরিত্রের সময়কালের বিস্তর তফাত। হয়তোবা এ ধরনের চরিত্র আমার কম পড়া হয়েছে তাই। দীপাবলিকে আমি যতটা চেয়েছি ততটা পছন্দ করতে পারিনি কখনই। বরাবরই বড্ড সাদাকালো চিন্তাভাবনার পাথরহৃদয় লাগতো। সত্যবতীর প্রতি বারংবার এ অভিযোগ সত্বেও ত���কে তেমনটা লাগেনি। প্রতিবাদ করার ধরনেও যে বয়সের সাথে পরিপক্কতা আসে এ ব্যপারটাও বেশ সুন্দর করে এগিয়েছে। মুখে মুখে উচিত কথা শুনিয়ে দেওয়ার অংশগুলোয় যতই পৈশাচিক আনন্দ হোক, হট্টগোলে শক্তি কম খরচ করে আসল কাজের জন্য তুলে রাখাই বুদ্ধির পরিপক্কতা। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পছন্দের একটা চরিত্র পেয়ে গেলাম। বহুদিন মাথা জুড়ে থাকবে সত্যবতী। আর খোঁজ পেলাম আশাপূর্ণা দেবীর ঝরঝরে সাবলীল গল্পবলিয়ে ক্ষমতার।
ট্রিওলজির পরের বই সুবর্ণলতা পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি
Profile Image for Saima Taher  Shovon.
501 reviews178 followers
July 28, 2020
বইটি পড়া শেষ হওয়ার পর একটি কথা মনে হয়-জন্মের সময় মেয়ে মানুষ একটি শিকল পায়ে জন্মায়-আর প্রতিদিন ঐ শিকলে একটি করে আংটা বাড়তে থাকে।নিয়মের আংটা, কুসংস্কারের আংটা,দায়িত্বের আংটা, মেয়ে হয়ে জন্মানোর দোষের আংটা -আরো কতো!!
জানি এই বই পঞ্চাশের দশকের গোঁড়া রক্ষণশীল সমাজকে নিয়ে লেখা,কিন্তু কোথাও যেনো মিল থেকে গেছে এখনো।

রামকালী চরিত্রটি মুগ্ধ করেছে প্রথমেই। হয়তো কুসংস্কার সম্পুর্ণ ছাড়তে পারেননি সমাজের দোষে-কিন্তু সত্যের সাথে তাঁর আচরণ, বিভিন্ন কাজেকর্মে উনার দূরদর্শিতা মুগ্ধ করেছে।
আর সত্যবতী! সত্যবতী!! কোন দুঃখে এতো জোর গলা আর ভিন্ন দৃষ্টি নিয়ে জন্মেছিলে তুমি!তোমার হওয়ার কথা ছিলো সমাজের পুতুল,মেয়েতো!কিন্তু তুমি কিনা তেজস্বিনী হলে!তুমি কিনা ভাবতে শিখলে!এতো সাহস তোমার! অন্যের সুখ খুঁজেছো,অন্যের দুঃখে পানি ফেলেছো!কি পেয়েছো বদলে!সারাজীবন অপমান!আপন হলো না কেউ!তোমার ওই চিংড়ি স্বামীর কথা না তোলায় ভালো।কিন্তু সন্তানগুলোও যেনো তোমার আলো পেলো না!
''এতো আলো পৃথিবীতে তবু পৃথিবীর মানুষগুলো এতো অন্ধকারে কেনো?''
Profile Image for Hari M.
2 reviews6 followers
August 3, 2016
Having read the Malayalam translation of 'Pratham Prathishruthi' i dearly miss not having known Bengali..!

The translation is awesome..but to think there always are things lost in translation makes this one even more inspiring a book to reach out for..and the depth of Bengali literature should definitely at par or even more than Malayalam!

Moving on to the rest of the trilogy " Suvarnalatha" n "Bakul Katha" offers a brighter vision of the transformation of bengali culture, society and the life of women. The chord we strike with the characters does give this an universal appeal..and is a must read!

Ps : Someday,if it be..this book-set will top the giftlist for my daughter! :)
Profile Image for Nipu.
65 reviews3 followers
March 13, 2019
প্রথম প্রতিশ্রুতি
আশাপূর্ণা দেবী
প্রকাশনী : মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স।
মূল্য: ৩০০ ইন্ডিয়ান রুপি ( মুদ্রিত মূল্য)
মোট পৃষ্টা : ৫০১


ইংরেজদের রাজত্বে হিন্দু সমাজের এক অদ্ভুত রুপ অসীম দক্ষতায় এবং মজাদার করে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখিকা। সেই সময়ে সেই সমাজে কেমন ছিলেন নারীরা, কেমনই বা ছিলো তাদের জীবন যাত্রা, কেমন ভাবেই তাদের ট্রিট করা হতো? প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে আশাপূর্ণা দেবীর ট্রিলজি, এই ট্রিলজির - প্রথম বই, প্রথম প্রতিশ্রুতি, দ্বিতীয় বই সুবর্ণলতা, তৃতীয় বই বকুল কথা।


যাইহোক প্রথম প্রতিশ্রুতি পুরাটা জুড়েই আছে সত্যবতী বা এটা সত্যের গল্প। সত্য ছোট বেলা থেকেই সবার থেকে আলাদা, সাহসে বলিয়ান এবং সবসময় অত্যাচারিত দলের পক্ষের লোক। বাবা রামকালী ও মেয়ের বিচার বিবেচনা আর সরল কিন্তু নির্ভিক প্রশ্নের জন্য মেয়েকে সমীহ করেন। রামকালী কবিরাজ গ্রামের মাথা এবং সমাজ সেবক ও বটে! সেই সমাজের প্রথা বা ধর্ম রক্ষার পন্থা ছিলো মেয়েকে খুব ছোট বয়সেই পাত্রস্থ করা! সত্যের বাবাও তাই করেছিলেন কিন্তু উনি প্রথার বিরুদ্ধে গিয়েও চেয়েছিলেন সত্য পড়াশোনা শিখুক যেহেতু ও বিরল প্রতিভা এটা উনি উপলব্ধি করেছিলেন! কিন্তু ঝাঁকড়া কোঁকড়ানো চুলের আর জোড়া ভুরুর মায়াবী চোখের মালকিনকে খুব অল্প বয়সেই যেতে হয় শ্বশুর বাড়ি যা সেই সময়ে মেয়েদের কাছে ছিলো নরকের দ্বিতীয় নাম। সত্য তার প্রথা বিরুদ্ধ আচার আচরণ দিয়ে কি পেরেছিলো সেই সময়ের নারীদের পথ দেখাতে?
যখন কোন পথ থাকেনা কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে তখন কোন একজন মানুষ পথ বানিয়ে গন্তব্য উন্মুক্ত করেন বাকি মানুষদের জন্য, সত্য ও তেমন চেষ্টা করেছিলো তার সমগোত্রের মানুষদের জন্য! মেয়ে মানুষ ও যে মানুষ তা প্রমাণ করার জন্য সত্য তার জীবনের প্রতিটি ধাপ রেখেছে।

আমার কথা: খুবই সুখপাঠ্য! এত সুন্দর গল্পের বাঁধুনি আর এত প্রাঞ্জল ঘটনার বিবরণ মুগ্ধ করেছে আমাকে।
আমার রেটিং : ৪.৯০/৫
Profile Image for Indian.
106 reviews29 followers
March 16, 2016
What a book!! What a great author!!
My salutations to 'Ashapurna Devi', Boss you are incomparable, for me she is the BEST Bengali author ever for fiction.
The writing style, the granularity, the characterizations, the clarity, the consistency-- all of it come alive with such a great force, that the seasoned reader is overwhelemed!
After this I continued reading her other books (Subarnalatha & Bakul Katha- both Hindi translations) & I was ever-amazed to see that her grip as a story-teller never slackens, not even dips anywhere, it just keeps soaring higher & higher.
For all the afficiadoes of Indian-society observers, the Indologists who want to get viggnettes of the collective lives of Indian women for almost a century, here is a chance.
Her three books starting from 'Pratham Pratishruti' 1850's India's village to 1950's Independent nation, captures the turmoils & traivails of women in all her beauty & constraints.
A must read for all Indians. Avilable in Bengali, Hindi & English.
Profile Image for Farzana Raisa.
520 reviews224 followers
May 29, 2017
বেশিইই অস্থির একটা বই। সাধারণত আমার সাজেস্ট করা বই অনেকেই পড়তে চায় না । তাদের লজিক- দুনিয়ায় খুব কম বইই আছে যা আমার অপছন্দের অথবা পড়তে যেয়ে বিরক্ত হয়েছি। যা হোক, আমি প্রথমে এই ট্রিলজি সম্পর্কে জানতাম না। খুব স্বাভাবিকভাবেই শুরু করি সুবর্ণলতা দিয়ে। সুবর্ণলতা পড়তে যেয়েই জানা প্রথম প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে।

শুধু একটা মন্তব্যই হবে- মাস্ট রিড বুক।

ট্রিলজির বিখ্যাত বইয়ের বিখ্যাত চরিত্র- সুবর্নলতা যে কেন সুবর্নলতা আর কিভাবে সুবর্নলতা সেটা প্রথম প্রতিশ্রুতির সত্যবতীকে জানা না থাকলে কল্পনা করা দুষ্কর। আর সত্যের চরিত্রের দৃঢ়তা? সেটাও জানা যায় এ বই থেকেই। সত্য আর সুবর্নর মাঝে বেশি ভাল লেগেছে সত্যকেই...

সত্য... তার নামের মতোই ধ্রুব এক চরিত্র ।
Profile Image for Ayon Bit.
147 reviews12 followers
November 30, 2016
প্রথম প্রতিশ্রুতি নামটা দেখেই সেই সদ্য টীন এজ লাইফের কথা মনে পড়ে গেল। আশাপূর্না দেবীর সাথে এই প্রথম পরিচয় । বই শেষ হয়েছে ঠিকই কিন্তু মত্বিষ্কে রেশ রয়েগেছে ঠিকই । ইদানিং আর রিভিউ লিখতে ভাল লাগে না ।
আমার সত্যবতীর জন্যে একটি লাইন না লিখলে নয় "এতো আলো পৃথিবীতে, তবু পৃথিবীর মানুষগুলো এতো অন্ধকারে কেন?"
Profile Image for Imam Abu Hanifa.
115 reviews27 followers
August 21, 2017
মানুষ বলতে আমরা কি বুঝি? মানুষের ইংলিশ কি হবে? Man নাকি Human!
যদিও হওয়া উচিত Human কিন্তু আমরা মানুষ বলতে Man বুঝি। অর্থাৎ পুরুষ। আমরা না বুঝলেও একটা সময় ছিলো যখন নারীদের মানুষের কাতারে ফেলা হতো না। তারা ছিলো দ্বাসী। হাজার বছর ধরে চলে আসা এই সমাজ ব্যাবস্থায় নারীও ভুলে গিয়েছিলো তাদের পরিচয়। মনগড়া ধর্মীয় ও সামাজিক নিয়মের বেড়াজাল নারীকে গৃহপালিত পশুর চেয়ে বেশি সম্মান দেওয়া হয় নাই। কেউ হয়ত এটা থেকে পরিত্রাণের পথও খোজে নাই। কারন এটাই ছিলো প্রচলিত সমাজব্যবস্থা। এই সময়টাকেই লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী তার ক্ষুরধার লেখনীতে তুলে এনেছেন।


একটা অন্যায় অনির্দিষ্ট কাল চলতে পারে না। একসময় সেটার অবসান ঘটে। সেই অবসান ঘটা বা পরিবর্তনের সুচনা হয় কিছু বিশেষ মানুষের হাত ধরে। এরা সমাজে আসেন পরশ পাথর হয়ে। তেমনই এক চরিত্র সত্যবতী। গ্রামের সম্ভ্রান্ত ও প্রতাপশালী ব্রাক্ষ্মণ রামকালী কবিরাজের একমাত্র মেয়ে সত্যবতী। আট বছর বয়সে সত্যবতীকে বিয়ে দিয়ে গৌরীদান সম্পন্ন করলেন পিতা রামকালী। বয়সের কারনে বিয়ের পরে কয়েকবছর বাপের বাড়িতেই থাকলো সত্যবতী। পিতার রাখা নামের সত্যতা প্রমান করলো তার কর্মকান্ড দিয়ে। মাত্র ১১ বছর বয়সেই সমাজ ও পরিবারের নির্মম সত্যগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে লাগলো সত্যবতী। পিতা রামকালী কোনোদিন অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি। পিতার এই আপোসহী��, একরোখা স্বভাবটি খুব ভালোভাবেই অর্জন করেছিলো সত্য। হয়ত পিতার চেয়ে কিছুটা বেশি। এজন্যই তো গ্রামের মাথার মুকুট রামকালী সবার উপরে প্রভাব বিস্তার করে চললেও পারতেন না নিজের এগারো বছরের মেয়ের সাথে। মেয়ের প্রশ্নবাণ তাকে বিদ্ধ করতো। তার ছোট্ট মেয়েটিই তাকে চোখে আঙুল দিয়ে সমাজের দগদগে ক্ষতগুলো দেখিয়ে দিতো। সময়ের পরিক্রমায় এক সময় সত্য শ্বশুরবাড়ি গেলো। নতুন এক পরিবেশে এসে পড়লো সত্য। একদিকে নির্লজ্জ, লোভি শ্বাশুরী; অপরদিকে বেহায়া চরিত্রহীন শ্বশুর। তবে জামাইটা সত্যর ভালো ছিলো। ভালো বলা ঠিক না, মন্দের ভালো। নিজের স্ত্রীর সাথে মায়ের ঝগড়া দেখে যে বাড়ি ছেড়ে পালায় তাকে কি বলা যায়! তবে সত্যর জন্য এই গোবেচারা স্বামীই ঠিক ছিলো। এজন্যই তো সত্য তাকে ভেঙেচুড়ে আবার গড়তে পেরেছে। কিন্তু পুরোপুরি নিজের মত কি গড়তে পেরেছিলো? সে প্রশ্ন নাহয় তোলা থাক।
সময়ের সাথে সাথে সত্যবতী কন্যা থেকে স্ত্রী, স্ত্রী থেকে মা হলো। সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্বামী-সন্তান নিয়ে কলকাতা চলে গেলো সন্তানদের শিক্ষিত করার জন্য। সেখানে গিয়েও সমাজের পৈশাচিকতাকে পাশ কাটাতে পারেনি। গ্রামীণ সমাজ থেকে পতিত শঙ্করী শহরে এসে বিয়ে করে সুখি হতে চাইলেও না পেরে আত্মহুতি দেয়। শঙ্করীর মেয়ে সুহাসকে নিজের হাতে ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলে সত্য। অবশেষে আবার গর্ভবতী হয় সত্য। জন্ম হয় সুবর্ণলতার। নিজের ভিতরে থাকা সত্বাকে দুই ছেলের মধ্যে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত মেয়ে সুবর্ণলতাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে সত্য। স্বপ্ন দেখে একদিন এই সমাজের অনিয়মের বেড়াজাল ভেঙে যাবে। প্রত্যেক নারী নিজের নারী পরিচয় নিয়ে সম্মানের সাথে বাচবে। কিন্তু সুবর্ণকে নিয়ে দেখা সেই স্বপ্ন কি আলোর মুখ দেখেছিলো? এই প্রশ্নটাও আপনাদের জন্য তোলা থাকলো।

নারীদের সবচেয়ে বেশি কে লিখেছেন? সম্ভবতঃ শরৎচন্দ্র। কিন্তু একজন নারী হয়ে যখন কেউ নারীদের নিয়ে লেখে তখন সেটা অতুলনীয় হয়ে যায়। লেখিকা নিজে নারী বলেই হয়ত নারী চরিত্রের অনেক গভীরে পৌছাতে পেরেছেন। লেখিকা তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও ক্ষুরধার লেখনী সমাজজীবনের উপরকার বর্ণাট্য মোহজাল ছিন্নভিন্ন করে তার সে সত্যকার রূপ দেখিয়েছেন তা ইতিপূর্বে কোনো লেখক বা লেখিকা করে দেখাতে সাহস করেন নি। কিন্তু শুধুই কি জীবনের অসত্য ও অমলিন দিকটাই দেখেছেন লেখিকা? না, তাহলে আজ এই সত্যবতীর সৃষ্টি বা কল্পনা সম্ভব হতো না। লেখিকার সৃষ্টি সত্যবতী চরিত্রের মাঝে লেখিকাকে খুজে পেয়েছি। সমাজের কঠিন নিয়মে নিজেই বাল্যকালে বিদ্যার্জন করতে পারেন নি। কিন্তু সত্যবতীর মতই অদম্য গতীতে এগিয়ে গিয়ে স্থান করে নিয়েছেন মানুষের হৃদয়ে। লিখে গেছেন ভারতের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পাওয়া উপন্যাস। এবং সত্যবতীর মাধ্যমে সমাজকে দেখিয়েছেন যে, নারীর নারীত্ব কত মহান! নারী ছাড়া মানব সমাজ পঙ্গু। কারন নারীরাই সমাজের অর্ধেক।
Profile Image for Shotabdi.
783 reviews175 followers
August 16, 2020
বেশ ছোটবেলায় টিভিতে সুবর্ণলতা বলে একটি সিরিয়াল হতো। তখন থেকেই এই ট্রিলজির কথাটা জানা থাকলেও পড়া হয়ে উঠেনি। কদিন আগে একজনের মুখে তৃতীয় উপন্যাস এর প্রধান নারী চরিত্রটির সুখ্যাতি শুনে সিদ্ধান্ত নিলাম, আর না। এবার এই ট্রিলজিটা শেষ করতে হবে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেখছি!
আশাপূর্ণা দেবীর তেমন উল্লেখযোগ্য লেখা আমার এর আগে আর পড়া হয়নি তেমন। তাই তাঁর লেখার স্টাইল সম্পর্কে বিশেষ অবগত ছিলাম না। মনোমুগ্ধকর লেখনশৈলী, পাতার পর পাতা অনায়াসে পড়ে যাওয়া যায়। ট্রিলজি বলেই এই বইটা শেষ হওয়ার ব্যথা তেমন করে বুকে বাজছে না। কারণ, কাল থেকেই সুবর্ণলতা শুরু করবো।
এই উপন্যাসের মূল চরিত্র সত্যবতী। উপন্যাসের শুরুতেই সত্যের তেজ, দুরন্তপনা, গভীরতা প্রকাশ পায়। খানিকটা পাকামোও বটে। তবে শুরু থেকেই সে বিবাহিত, তার বাবা রামকালীর দৃঢ় ইচ্ছেয় যে উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত পিত্রালয়ে থাকে।
বাবা রামকালী একজন গ্রাম্য কবিরাজ, তবে তাঁর জ্ঞান এবং যশ উভয়েই আছে। ছেলেবেলাতেই নিজের জেদের পরিচয় দিয়ে বাড়ি ছেড়ে গিয়েছিলেন, একক উদ্যমে জীবনযুদ্ধে নিরাপদ স্থান অর্জন করেছেন।
রামকালীর একমাত্র সন্তান হওয়াতেই সত্যের উপর তাঁর স্নেহ একটু বেশি রকম। ধীরে ধীরে তিনি উপলব্ধি করেন যে সত্য অন্যদের চেয়ে অনেক আলাদা। তলিয়ে ভাবতে জানে সে, প্রতিবাদী এবং একই সাথে শিক্ষার জন্য অদম্য স্পৃহা। রামকালীর ব্যক্তিত্ব মুগ্ধ করার মতোই, তবে একটি মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও অবধারিত আদেশবলে তাঁর ভাইপোকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য করান। ভাইপোর প্রথম স্ত্রী এমনকি নিজের স্ত্রীর কথাও খুব গুরুত্ব দিয়ে ভাবতেন না তিনি। তাঁর চোখেও মেয়েরা খুব বেশি বুদ্ধি রাখে এমন মনে হতো না।
তবে স্ত্রী মারা যাবার পর এবং সত্যেরই নানান কীর্তিকলাপের দরুণ তাঁর ভাবনা একটু একটু করে পাল্টায় অনেকটা।
সত্যের মা ভুবনেশ্বরী সাধারণ মায়াবতী এক নারী। অসাধারণত্ব কিছু থেকে থাকলেও তা সমাজব্যবস্থা কিংবা উদ্যোগের দরুণ ফুটে উঠেনি।
ফুটে উঠেছে সত্যবতী। এতো তীব্রতা সে পেলো কোথা থেকে? নিজে নিজেই পড়তে শিখেছে সে, লিখেছে কবিতা। একটু বড় হয়ে নিজের সংসারে গিয়ে এমন সব কাণ্ড ঘটিয়েছে যা যুগান্তকারী। নিজের কুটিল, সাধারণের চেয়েও নিচু স্তরের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি কিংবা ব্যক্তিত্বহীন মেরুদণ্ডহীন মূঢ় নবকুমারকে সামলেই তাকে প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছে নিজের মত।
কলকাতায় বাড়ি ভাড়া করে গিয়ে সাজিয়েছে নিজের সংসার। কুসংস্কার কিংবা অন্যায় থেকে মুক্ত থাকার এতো বড় শিক্ষাগুলো সত্য নিজের বিচক্ষণতার সাথে সাথেই পেয়েছিল ভবতোষ মাস্টারের কাছে।
সত্য ভালোবাসতো সকলকেই কিন্তু তার সত্তা বিলিয়ে দিয়ে নয়। নিজের মতামত ঠিক রেখেই সে গড়তে চেয়েছিলো সত্যিকারের মানুষ। পদে পদে নানান বাধা-নিষেধ এর বেড়াজাল টপকেও শেষ পর্যন্ত কী সফল হতে পারলো সত্য? উত্তর পেতে বাকি আছে।
চিরায়ত সাহিত্য আসলে এমনই হয়। নানান প্রশ্নের উত্থাপন করে, ভাবায়, কিছুর জবাব দেয়, কিছুর দেয় না।
সত্যবতীর মতো মেয়েরা ঘরে ঘরে জন্মায় না। আজকের দিনেও এমন দৃঢ়চেতা মেয়ে আমরা তাই আশেপাশে কম দেখি। তবে সত্যের মতো মেয়েরা অল্প জন্মিয়েও সমাজের ভুলগুলোর মুখে চপেটাঘাত করেন, সমাজকে এগিয়ে দেন অনেকটা, ভেঙে দেন অনেক কুসংস্কার। কাজেই আপাতদৃষ্টিতে হার মনে হলেও শেষ হাসিটা তাঁরাই হাসেন।
[ সিরিয়ালে সত্যবতী এবং সুবর্ণলতার দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন 'আবহমান' চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় পুরস্কার জয়ী অনন্যা চ্যাটার্জি। এতদিন পর অনুভব করতে পারছি কাস্টিংটা পার্ফেক্ট ছিল।]
Profile Image for Dev D..
171 reviews32 followers
May 12, 2019
আশাপূর্ণা দেবী এই বই লিখেছিলেন গত শতকের পঞ্চাশের দশকে আর তিনি যে সময়ের কথা লিখেছেন তা আরও ৮০ থেকে ১২০ বছর আগের কাহিনী। সেই সময়কে সেই সময়ের গোঁড়া রক্ষণশীল সমাজকে লেখিকা খুব সুন্দরভাবে ফুঁটিয়ে তুলতে পেরেছেন নিঃসন্দেহে। একটি সমাজের মূল্যবোধ, নৈতিকতা সময়ের সাথে অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই সৎ, আদর্শ পুরুষ রামকালীর অনেক কাজ সে যুগের নৈতিকতার সাথে হয়তো সাংঘর্ষিক ছিলো না, এ যুগে এমন কেউ যদি করে তাকে আর আদর্শ পুরুষ বলা যাবে না। সত্যবতীর গৌরীদান, নিজের মতে রাসুকে দ্বিতীয় বিয়ে দেয়া ( যা তখনো অনে��ে মন থেকে মেনে নিতে পারে নি), সব সম্পত্তি নিজের ভাইয়ের ছেলেদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া, স্ত্রী কে অবহেলা এসব আজকাল এর মূল্যবোধের সাথে যায় না, যদিও তখন যেত। আর তার স্নেহের কন্যা সত্যবতী, তখনকার সমাজে যে একটি ব্যতিক্রম তার সব আচরণও কি এখন সমর্থনযোগ্য? ছেলেদের জোর করে নিজের মতে তৈরী করা, স্বামীর সাথে তর্ক, বিরোধ থাকলেও স্বামী মানেই একটি দেবতা বিশেষ এই বিশ্বাস অন্তত আজকের দিনের সত্যবতীরা করবে বলে মনে হয় না। সত্যবতী বিদ্রোহী, বিপ্লবীও কিন্তু তার প্রতিটি বিদ্রোহকে সফল করেছে কিছু না কিছু বাইরের ঘটনা। নবকুমারের এমন অসুখ না হলে, বা এমন মেরুদন্ডহীন সে না হলে, ইংরেজী না জানলে, সবচেয়ে বড় কথা ভবতোষ মাস্টার না থাকলে কি করতো সত্যবতী একা? সে যাই হোক, এমন কার্যকারণ হয়তো কারো না কারো জীবনে ঘটে যায়, সেটা ব্যতিক্রম যদিও, সত্যবতীও তো ব্যতিক্রমই। এমন হাজার হাজার সত্যবতী, ভবতোষ মাস্টারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায়, জীবনের তাগিদেও সমাজ বদলেছে, আরও বদলাবে। তখন হয়তো আমাদের জীবনটাই রূপকথা বলে মনে হবে। আর আশাপূর্ণা যিনি প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না, কিন্তু ছিলেন স্বশিক্ষিত, কি সুন্দর তার ভাষার গাঁথুনি, লেখনী, পাঠককে টেনে রাখে বইয়ের প্রতি। আর একটা ব্যাপার খুব কম পুরুষ লেখকই হয়তো নারীর মনস্তত্ব এতো সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করতে, ফুঁটিয়ে তুলতে পারতেন। তাই এই বই সবার দ্বারা লেখা সম্ভব হতো না। ভালো লাগলো, আশাপূর্ণা দেবীর লেখা বেশি পড়িনি, তবে তিনি যে একজন শক্তিশালী লেখিকা ছিলেন তা উপলব্ধি করলাম।
Profile Image for Tasfia.
10 reviews30 followers
August 23, 2018
"এত আলো পৃথিবীতে তবু পৃথিবীর মানুষগুলো এত অন্ধকারে কেন?!"
একজন বইপ্রেমী জীবনে সাধ্য ও স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী অনেক বই পড়ে।কিছু বই তার ভাল লাগে .. কিছু বই খুব ভাল লাগে .. আবার কিছু বই হয়ত ভাল লাগে না।কিন্তু জীবনে খুবই অল্পসংখ্যক বই পড়ার সৌভাগ্য হয় মানুষের যেগুলো তার মনে সারাজীবনের মত আঁচড় কেটে যায়। এই ধরনের বইগুলো হাসি কান্না আনন্দ বেদনাসহ অনেক মিশ্র অনুভূতির সাথে আরও কিছু জোগায় .. শক্তি। আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রতিশ্রুতি আমার কাছে সেরকম একটি বই। সেই সমাজ যে সমাজে মেয়েদের বই এর ছায়া মাড়ানোকে অকল্যান বলে ধরা হত সেই সমাজের কোন 'নিয়ম কানুনের' তোয়াক্কা না করা ছোট্ট মেয়ে সত্যবতী ।যার আচরণে অতিষ্ঠ প্রতিবেশী...শংকিত পরিবার । সবার ভয় 'এ মেয়ের তো শ্বশুরঘরে জায়গা হবে না'। আট বছর বয়সে মেরুদন্ডহীন এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়ে যাওয়া সেই মেয়ের নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের গল্প এই বই । মানুষের মনের শক্তি..তার বিশ্বাস কতকিছু পরিবর্তন করতে পারে তার প্রমাণ সত্যবতী। সমাজের কাছে যা স্বাভাবিক বলে স্বীকৃত হয়ে গেছে কিন্তু তার কাছে অন্যায় বলে মনে হয়েছে তার সব কিছুর বিরুদ্ধে সত্যবতীর অবস্থান ছিল কঠিন অগ্নিমূর্তির মত।
এই বই যেমন একদিকে আমাকে সাহস দিয়েছে , শক্তি দিয়েছে .. অন্যদিকে দিয়েছে অনুপ্রেরণা এবং তৃপ্তি। আর তাই সত্যবতীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য আশাপূর্ণা দেবীর প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।
Profile Image for Ësrât  Járïñ.
509 reviews83 followers
July 15, 2019
রেটিং-৪.৫
সুবর্ণলতার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা সর্বজনবিদিত, কিন্তু তার মধ্যে সঞ্চারিত হওয়া বৈশিষ্ট্য গুলো যে সত্যবতী থেকে পাওয়া তা বোধহয় অনেকেই জানেন না,সত‍্যবতীর সত‍্যবাধনে পুত্র স্বামী কাওকেই বাঁধতে না পারলেও অদম‍্য মনের জোরে এলোকেশীর নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে উঠা, অথবা নিজের সাতজনমের অগ্নিসাক্ষী করা স্বামীর প্রতিশ্রুতি রক্ষার অক্ষমতার জন্য একনিমিষে সংসার ত‍্যাগের সিদ্ধান্ত তখনকার দিনের অন্তঃপুরের নারীদের জন্য আকাশ কুসুম স্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়, কিন্তু সত্যবতী নিজের সত‍্যে ভাস্বর হয়ে সমাজের নিয়মকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে যা করেছে তা আজকের দিনে তথাকথিত সুশীল শিক্ষিত নারীবাদীদের মধ্যে দেখাই যায় না 😊
Displaying 1 - 30 of 123 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.