A girl named Kuheli,immersed in depression due to not having conventional beauty tries heart and soul to go back to normal life. But social bullying and body shaming pierce through Kuheli's heart deep down impeding to overcome her depression.
Simultaneously a mysterious serial killing is taking place in Dhaka City. Age,height,profession,religion,cast,creed- irrespective of all distinctive data,no CID investigator finds a slightest clue behind any of the murder. Official Forensic Expert Abrar Fahad finds Kuheli with the help of a Nursery Rhymes Book beside each crime scene and a historical antique fossil inscripted with glibberish words. Gradually,one after another layer shrouded with foggy mistery initiates to be revealed.
An elderly woman with extreme shrinken skin,Missionary School, Surrogate Mother- To Abrar Fahad each and every clue appears as Boomerang shaft enclosing every loophole. A mysterious killer is leaving her trademark-''Mother Saves'' in multiple encoded language using the knowledge of Medical Science, Physics,Chemistry. Will Abrar be able to unveil the truth lurking in umbrageous ness?
Maliha Tabassum is a Bangladeshi novelist,singer and artist. She is also keen to set her footprint in direction based on her own plot. Apart from her creative career,she completed M.B.B.S from Shaheed Suhrawardy Medical College. She is looking forward to pursue PhD Degree in Forensic Psychiatry in abroad soon.
She has developed inclination towards Bengali and English literature and music since her early days. Her first published piece of writing was from Jugantar and Prothom Alo newspaper back in 2012-14. She gained recognition as best classical singer and reciter in 2015 from Nazrul Academy sponsored by Tamuddin Majlish. She also achieved prize as radio personality from Radio Bhumi.
She published her first novel, "Brittobondi" which was a Romantic Spy Thriller from Annesha Prokashan in 2019. Her debut novel turned a boon for her and she started to gain popularity among readers' community. She published second novel, "Gigolo" in 2020 which was also a massive hit. It was based on male prostitution,first ever a complete fiction about male escort in Bangla.This book secured its place in top 30 novels published in 2020 by Banglamati Website's "Ekushey Shongkolon".
Her biggest break was her third novel, "Inferiority Complex". This novel introduced first ever fictional "Medical Examiner" character in Bangla. It garnered overnight stardom for her.
She achieved Rokomari Bestseller Award consecutively for "Inferiority Complex" & her fourth novel "Achilles Er Tendon",another medical thriller. She has received Best Writer Award in Research category for her non fiction in 2025 due to insightful notion on Dictators' Psychoanalysis and July Uprising,2024. This prestigious Award was provided on behalf of Bangladesh Nationalist Party.
She has always longed for making a revolutionary change in Bangladeshi Book industry and media by taking initiatives to internationalise novel based movie adaption. In 2025, her first directional debut work is "Obsession is injurious to health"— a thriller screening Impress Telefilm.
Despite being a part of youth,She opts for playing a pivotal role to convert her own medical thriller fiction into celluloid. She believes- Pursuing her academic research and passion for Forensic Psychiatry can contribute to convert her plots into celluloids. The bridge between literature and media of Bangladesh can help us secure a firm position of Bangladeshi content into global platform- This is my firm belief.
“The heaviest penalty for declining to rule is to be ruled by someone inferior to yourself.” ― Plato, The Republic - "ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স" - "ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স" বইয়ের শুরুতে দেখা যায় সারা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ভয়াবহ এক সিরিয়াল কিলিং। আপাতদৃষ্টিতে সেই খুনগুলো একই সিরিয়াল কিলারের মনে হলেও সেই খুনগুলোর কোন মোটিভ বা সেই খুনী প্রতিবারই থাকছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই এই খুনগুলো তদন্তে সিআইডির স্পেশাল টিমে থাকা আইজিপি জালাল, এএসপি মাহফুজ, অবন্তির সাথে যোগ দেন ফরেনসিক এক্সপার্ট ড. আবরার ফাহাদ।
কুহেলি, ছোটবেলা থেকেই বর্ণবৈষম্য এবং বুলিং এর স্বীকার হওয়া এক মেয়ে। এক সাইকোলজিস্ট এর তত্ত্বাবধানে মেয়েটি তার ক্রনিক ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু তারপরেও বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য তার পিছু ছাড়ে না। ঘটনাক্রমে সেও জড়িয়ে পরে সিআইডির এই বিশেষ কেসটির সাথে।
এখন সারা বাংলাদেশে নার্সারির এক বই, দুস্পাপ্য সব ভাস্কর্য আর অদ্ভুত কিছু সংকেতের মাধ্যমে কে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে? কুহেলি নামের মেয়েটি এই কাহিনিতে কিভাবে জড়িয়ে পরে? ফরেনসিক এক্সপার্ট ড. আবরার ফাহাদ কি সিআইডির টিমের সাথে মিলে ধরতে পারবে এই ভয়াবহ সিরিয়াল কিলারকে? তা জানার জন্য পড়তে হবে লেখক মালিহা তাবাসসুম এর মেডিকেল থ্রিলার ভিত্তিক উপন্যাস "ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স"। - "ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স" বইটির প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে বইয়ের কভারে পর্যন্ত লেখা হয়েছে মেডিকেল থ্রিলার, যদিও পড়ার পরে বাংলা আট-দশটা সিরিয়াল কিলিং এবং পুলিশ প্রসিডিওরাল ভিত্তিক ক্রাইম থ্রিলারের থেকে তেমনভাবে আলাদা করতে পারলামনা বইয়ের প্লটটিকে। বইয়ের শুরুতেই চোখে পড়ে এর উৎসর্গপত্রটি, যা বইয়ের অন্যতম পজিটিভ দিক। এর পরে বইয়ের মূল কাহিনি দুই ভাগে ভাগ হয়ে পাঠকদের কাছে প্রকাশিত হতে থাকে। "ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স" বইটির মূল থিমের একটি অংশ বেশ ভালো লাগলো, বিভিন্ন সোশাল ম্যাসেজ দেয়ার চেষ্টা করার হয়েছে সেই অংশে। কিন্তু বইয়ের প্লট বা থিম যাই বলি না কেন, সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবে ঠিক উপভোগ করতে পারিনি অযাচিত উপমার ভাবগাম্ভীর্য মূলক প্রয়োগের কারণে। বইয়ের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে যথাসম্ভব কঠিনভাবে এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উপমা বা মেটাফোর প্রয়োগের চেষ্টা করা হয়েছে। এতে বইতে ভাবগাম্ভীর্যতা বজায় থাকলেও লেখার প্রাঞ্জলতা নেমে এসেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়। তাই লেখার নানা জায়গায় প্রাঞ্জলতার অভাবে বইয়ের থিম এবং মেসেজগুলো যত ভালোভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে তা ঠিকভাবে বর্ণিত হয়নি। মূল গল্পের সিরিয়াল কিলিং এর পার্টগুলোর প্লট ভালো হলেও গল্পের বর্ণনাভঙ্গি এবং সংলাপের সাবলীলতার অভাবে সে জায়গার সাস্পেন্স গুলোও ঠিকভাবে ফুটে উঠতে পারেনি। - "ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স" বইয়ের চরিত্রগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায় লেখক কুহেলি আর আবরার চরিত্র দুইটির দিকেই মূল ফোকাস দিয়েছেন, তার ফলে বাকি চরিত্রগুলো খুব ভালোভাবে ফুটে উঠতে পারেনি বইতে। কুহেলির ক্ষেত্রে ব্যপারটা খুবই ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে, বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়া এক মেয়ের চরিত্র চিত্রণে মোটাদাগে উতরে গিয়েছেন লেখক। তবে কুহেলি চরিত্র মোটামুটিভাবে গল্পে মানিয়ে গেলেও আবরারের ক্ষেত্রে ব্যপারগুলো মানা খুবই কষ্টসাধ্য। কেসের তদন্ত প্রক্রিয়ায় দেখা যাচ্ছে পুরো টিমে একজনই প্রায় সকল ক্লু বের করে ফেলছেন যে কিনা পেশায় একজন ডাক্তার আর যাদের ক্লু বের করার কথা সেই গোয়েন্দা টিমের সদস্যরা সারাদিন কোরিয়ান কিংবা বলিউডের মুভি নিয়ে পড়ে আছেন- ব্যপারটা কতটুক বাস্তবসম্মত হলো এ ব্যাপারে আমি সন্দিহান, বইয়ের কয়েকটি ফিউচারিস্টিক গ্যাজেট সম্পর্কেও আমার একই সন্দেহ রয়েছে। বইতে কোড ব্রেকিং এবং নানা ধরনের সায়েন্টিফিক ব্যপারগুলো বোঝানোর জন্য লেখককে বেশ ভালো পড়াশোনা করতে হয়েছে তার ছাপ স্পষ্ট, ব্যপারটা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। তবে কোড ব্রেকিং এরই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে খুবই দৃষ্টিকটু কিছু তথ্যগত ভুল গল্পের শেষদিকের টুইস্ট অ্যান্ড টার্ণকে একেবারে হালকা করে দিয়েছে। - "ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স" বইয়ের প্রোডাকশনের দিক থেকে বইয়ের বাঁধাই, কাগজের মান ইত্যাদি ভালোই ছিল। বইয়ের নামলিপি এবং ফ্রন্ট কভার মানিয়ে গিয়েছে বইয়ের সাথে, তবে ব্যাক কভারে আরো কাজ করা যেতে পারতো মনে হয়েছে। বইতে কিছু বানান ভুল, বিশেষ করে "লেখনী" শব্দের একাধিক ভুল প্রয়োগ এবং টাইপিং মিস্টেক দেখলাম, এক জায়গায় অবন্তী আর কুহেলির ভেতরে নাম বিভ্রাটও রয়েছে। সংলাপের ক্ষেত্রে কোটেশন (❝ ❞) মার্কের পরিবর্তে এম ড্যাশ (—) মার্ক ব্যবহার করা হয়েছে কেন ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। তবে সম্পাদনায় সবথেকে বড় যে খামতি চোখে পড়লো তা হচ্ছে শেষের দিকের কোড ব্রেকিং এর কিছু তথ্যগত ভুল ঠিক না করেই ছাপার জন্য গ্রিন লাইট দেয়া। আশা করি সামনের সংস্করণে প্রকাশনীটি এ ব্যপারগুলো শুধরে নিবে। - এক কথায়, ভালো থিম এবং প্লটের পরেও লেখনশৈলীতে প্রাঞ্জলতার খানিকটা অভাবে যতটুক ভালো হবার কথা ছিলো তেমন ভালোভাবে ফুটে উঠেনি "ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স" বইটি। আশা করি ভবিষ্যতে লেখক আরো ভালোমানের প্লট এবং লেখনশৈলীর উপন্যাস নিয়ে আসবেন আমাদের জন্য। লেখকের পরবর্তী বইয়ের জন্য রইলো শুভকামনা।
২০২১ এ আমাকে সবচাইতে বেশি চমকে দিয়েছে এই বইটা। নামডাক শুনে কিনেছিলাম, এরকম ঠগ খাব কস্মিনকালেও ভাবিনি। বইয়ের প্লট ভালো। এবং সে কারণে বাড়তি একটা তারা দিয়েছি৷ কিন্তু এর প্রয়োগকরণ! কাঠিন্যের বাহুল্যতায় একরূপ ঘন কুজ্ঝটিকা প্রকট হয়েছে তা পড়ার গতিকে ব্যহত করে মস্তিষ্ককে বিমূঢ়তায় নিক্ষেপ করে। এই বাক্যটি পড়তে যদি আপনার ভালো না লেগে থাকে, তবে ইনফিরিওরিটি কম্পলেক্স আপনার ভালো লাগবে না। বঙ্কিমচন্দ্র নমস্য, কিন্তু তাই বলে সমসাময়িক কোনো লেখায় একগাদা গুরুচণ্ডালীর সাথে তাঁর মতো করে লেখার চেষ্টা একধরনের বালখিল্যতা। ওদিকে সনির সিআইডি থেকে শুরু করে কে-ড্রামার রেফারেন্স আর ভুলভাল ইংরেজি প্রয়োগের কথা আর বললাম না। হতাশ
রেটিং: ২.৫ বাংলাদেশের প্রথম মেডি থ্রিলার বলা বইয়ে মেডিকেলের সাথে একমাত্র সংযোগ ছিল, মূল গোয়েন্দা চরিত্রে একজন ডাক্তার চরিত্র রাখা। কিছুক্ষেত্রে মেডিকেল টার্মস উল্লেখ করা হলেও, মনে হয়েছে জোর করে টেনে আনা। উপন্যাসের প্লট নিয়ে বলতে গেলে বলবো, আকর্ষণীয় প্লট। মাঝে বেশ জমে উঠেছিলো। সিরিয়াল কিলিং এর ক্লুতে মাথা খাটানোর স্কোপ থাকলেও সেটা একদমই করেননি লেখক। ক্লাইম্যাক্স বা ফাইনাল রিভিলেশন সিন একদমই আশাহত করেছে। শেষের কয়েক চ্যাপ্টার মনে।হয়েছে অনেক জলদি জলদি টেনে দেয়া এন্ডিং।
ক্যারেকটার ডেভেলপমেন্ট এবং ফেডিং ছিল না বইয়ে। অনাবশ্যক সাহিত্য আর কঠিন শব্দের প্রয়োগ চোখে লাগার মত। সবশেষে, কথায় কথায় বলিউড, কোরিয়ান সিনেমার তুলনা, একজন প্রকৃত লেখকের থেকে কাম্য নয়, একেবারেই।
প্রথমত, লেখিকার অত্যন্ত বিরক্তিকর শব্দচয়নের ব্যবহার বই পড়ার মুডই নষ্ট করে দিসে। লেখিকা থ্রিলার না বিভূতিভূষণের উপন্যাস ফেদে বসেছেন।
দ্বিতীয়ত, ডিটেকটিভরা কথায় কথায় হিন্দি, ইংরেজি, কোরিয়ান মুভির সিরিয়াল কিলিং রেফারেন্স টানছেন, পড়লে মনে হয় পুলিশ এর ট্রেনিং একাডেমিতে তাদের কিছুই শেখানো হয় না, বাধ্য হয়ে তাদের মুভি দেখে রেফারেন্স দেয়া লাগছে।
কাহিনীটা খারাপ না। ভালোই বলা চলে, তবে অপ্রয়োজনীয় কথা, আজাইরা রোমান্টিসিজম ও টু মাচ ড্রামাটিক!
ন্যূনতম কমনসেন্স না থাকলেও একটা মানুষের জানা উচিত কোনো দেশের পুলিশের আইজিপি কোনো কেসে নিজেকে ইনভলভ করেন না। তা দেশের প্রেসিডেন্ট/ প্রধানমন্ত্রী খু*ন হয়ে গেলেও!
এবং আইজিপি সেই কেসে ইনভলভ হয়েছেন ডিআইজির অনুমোদন সাপেক্ষে!
চিন্তা করে দেখুন, একজন ডিআইজির কতবড় ক্ষমতা, তিনি একটা কেসে আইজিপিকে ইনভেস্টিগেটিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন! এবং কেসে অগ্রগতি না হওয়ায় ডিআইজি, আইজিপিকে ফোন করে ঝাড়ি দিয়েছেন! উক্ত ডিআইজির কাছে নিশ্চিত আইজিপির গোপন ভিডিও আছে!
পুরো বই জুড়েই এরকম অসংখ্য অসঙ্গতি চোখে পড়েছে। বইটা হাতে নিয়েছিলাম মেডিকেল থ্রিলার সম্পর্কে জানার জন্য। বইটা শুরু করার পর আক্ষরিক অর্থেই লাইনের পর লাইন ভুলভাল লেখা পড়ে গেছি স্রেফ বইটার একটা নির্মম সমালোচনা লেখার জন্য।
আমার কোনো রিভিউতে, কিংবা বোদ্ধা পাঠকদের রিভিউতে বইয়ের অসঙ্গতি ছবিসহ উল্লেখ করার চল দেখিনি। আমি দিচ্ছি, কারণ এই বইটা নাকি মুড়ি মুড়কির মতো বিক্রি হয়েছে৷ কাজেই পাঠিকার অন্ধ এবং ক্ষেত্র বিশেষে অজ্ঞান ভক্তকূল যেন কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারে, তাই ছবি সংযুক্ত করে দিচ্ছি।
ইনভেস্টিগেটিং টিম স্পটে যাচ্ছে, তার কোনো উল্লেখ নেই, এদিকে ফরেনসিক এক্সপার্ট আবরার ফাহাদ হাওয়া থেকে একেকটা ক্লু আবিষ্কার করছে! যেন তার কাছে সত্যিকারের ক্রিস্টাল বল আছে!
প্রথমদিকের অসঙ্গতি গুলো পরবর্তীতে খানিকটা গুছিয়ে উঠলেও পুরো বই জুড়ে একটা বিষয়ের পুনরাবৃত্তি জারি ছিল।
ইনভেস্টিগেটিং টিমের কেউ কোথাও গেলো না, মানে তারা যে সরেজমিনে ইনভেস্টিগেট করেছে সেইসবের কোনো চিত্রায়ণ নেই। খুনি কীভাবে খুন করছে তার কোনো দৃশ্যায়ন নেই। সবাই যার যার মতো গোপনে (!) তদন্ত করেছে, করে এসে মিটিংয়ে জানাচ্ছে কীভাবে তারা ক্লু উদ্ধার করেছে!
মানে লেখিকা হাওয়া থেকে একেকটা ক্লু এনেছেন!
তবে লেখিকা একটা টুইস্ট দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন এবং সেটা যথাযথ হয়েছে বলে মনে করি। মানে ধরতে পারিনি আরকি।
এছাড়া লেখিকা মেডিকেল/ফরেনসিক সায়েন্সের যেসব রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন তা যথার্থ মনে হয়েছে।
একদম শেষে গিয়ে খুনিকে ধরতে গিয়ে নায়ক যেভাবে নিজের প্রাণ সপে দেয়, এবং পুরো বই জুড়ে নিজ দলের যার সাথে দ্বন্দ থাকে, সে-ই ব্যক্তিই নায়কের প্রাণ বাঁচায়; এরকম ক্লাসিক এন্ডিং ছিল আরকি। নতুনত্ব নেই।
প্লট টা সুন্দর ছিল।ইউনিক না হলেও বলব যথেস্ট ভাল ছিল কিন্তু শুধু এক প্লট ভাল হলেই কি একটা বই ভাল হয়ে গেল? গল্প বলায় পারদর্শিতা থাকতে হবে তো। একটা গল্পের প্রোটাগনিস্ট ই একাই একশ আর বাকি সবাই আন্ডা।চরম বিরক্তি লাগে এই জিনিসটা দেখলে।তারপর একজন ফরেনসিক স্পেশালিষ্ট সবকিছু করতেছে।এমনকি যা পুলিশ করার কথা ছিল সেটাও উনি করছে।আর কথায় কথায় বলিউড মুভি বা কোরিয়ান মুভি টেনে এনে লেখিকা কি বুঝাতে চাইল স্পষ্ট নয়।মে বি তিনি এগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে সেটাই জানাতে চেয়েছে তাছাড়া আর কোন ব্যাখ্যা আমার আসে না।শেষ দিকে কি করল তাও স্পষ্ট নয়।সর্বোপরি হতাশ গল্পটি পড়ে।আর লেখনী তো অত্যন্ত কাঁচা লেখনশৈলী। মাঝে মাঝে মনে হইছে রবীন্দ্রনাথের কোন গল্প পড়ছি নাকি সেই আমলের! পজিটিভ দিক হল কিছু মেডিকেল শিক্ষা অর্জন করতে পারছি সেটাই।আর লেখিকার যে প্রচুর পড়াশোনা করতে হইছে তার জন্য এপ্রিসিয়েট ডির্জাভ করে
প্লটটা সুন্দর, লেখিকা শেষ পাতা পর্যন্ত বইয়ের প্রতি আকর্ষণ টেনে রাখতে পেরেছেন। দুইটা জিনিস শুধু পছন্দ হয় নাই : ন্যাকা সুন্দরী সাইডকিক আর তার কথায় কথায় হিন্দি সিনেমার রেফারেন্স, আর "মেডিকেল থ্রিলার" টার্মটা। গতানুগতিক ক্রাইম থ্রিলারের থেকে বেশি কিছু মনে হয় নাই, মাঝে মাঝে খটমটে কিছু ডিটেইলড মেডিকেল টার্মিনোলোজি আছে ওগুলো না থাকলেও কাহিনীতে হেরফের হতো না। যেকোনো স্পেশালাইজড ডিগ্রিওয়ালা মানুষই বইতে তার পড়াশোনার জিনিস যোগ করে দিতে পারেন যেটা অন্যের কাছে দুর্বোধ্য লাগবে, আমি যদি কোনো বই লিখে ভিতরে এক জায়গায় - "সুপারভাইজড নাইভ বায়াস ক্লাসিফায়ার দিয়ে খুনির পরবর্তী টার্গেট বের করলো" বসিয়ে দেই, নিশ্চই আমি এটাকে " মেশিন লার্নিং থ্রিলার" নাম দিব না? যাই হোক, লেখিকার জন্য শুভকামনা থাকল। এটা সম্ভবত উনার প্রথম বই, পরবর্তী বইগুলো আরো ভালো হবে আশা করি।
সারসংক্ষেপ: কুহেলি। গায়ের রং মলিন, মোটা এবং খাটো হওয়ায় যাকে প্রথাগত বিচারে অসুন্দরী বলে এই সমাজের মানুষ। ক্রনিক ডিপ্রেশন কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা কুহেলি বডি শেমিং ও সোশ্যাল বুলিং'র শিকার হয়ে তার জীবনটাকে দূর্বিষহ করে তুলে আবারও।
ঢাকা শহরে আচমকাই ঘটছে একের পর এক খুন। খুনগুলো ঘটছেও বেশ অভিনব কায়দায়। খুনের প্যাটার্ন পর্যবেক্ষণ করে এটা মোটামুটি সবাই নিশ্চিত খুনি একজনই বা খুনের প্ল্যানিংগুলো একজন অথবা একটি দল এক হয়েই করছে। ভিক্টিমদের ধর্ম, বর্ণ, বয়স, জাত, উচ্চতা ইত্যাদি এক না হওয়ায় সিআইডি ইনভেস্টিগেশন টিম এই কেসের কোনো সূত্র ধরেই এগোতে পারছে না। খুনের মোটিভও অস্পষ্ট। এদিকে একেকটি ক্রাইম সিনে পাওয়া যাচ্ছে নার্সারির বাচ্চাদের রাইমের বই ও ঐতিহাসিক অর্থ বহন করা এক ফসিল পাথর।
সিআইডির ফরেনসিক ইনভেস্টিগেটর আবরার ফাহাদ নিজেই নেমে পড়ে কেস সমাধান করতে। তদন্তের মোড় ঘুরে যায় এক ঝলকে। নার্সারির রাইম বই আর ফসিল পাথরটির রহস্য সমাধান করতেই ঘটনাচক্রে আবরার মুখোমুখি হয় কুহেলির সঙ্গে। দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এক হয়ে যায় নিমিষেই।
কে করছে খুনগুলো? কেনই বা করছে? নার্সারির রাইম বই আর ফসিল পাথরেরও বা কি সম্পর্ক এখানে? এসবের মাঝে কিভাবেই বা কুহেলি জড়িয়ে পড়ল? জানতে হলে পড়ুন লেখিকা মালিহা তাবাসসুমের মেডিকেল থ্রিলার 'ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স'।
পাঠ-প্রতিক্রিয়া: প্রথম অধ্যায়ের শুরুটা হয়েছে একটু কাব্যিক স্টাইলে। যারা নতুন বইপড়ুয়া তাদের হয়তো বইটার প্রথম অধ্যায় পড়ে শব্দগুলোর অর্থ বুঝতে একটু অসুবিধে হতে পারে। তবে প্রথম অধ্যায় বাদে বাকিসব অধ্যায়গুলোতে সেই কাব্যিক ধারা ছিল না মোটেই। প্রথম অধ্যায় বুঝতে কষ্ট হবে হলেও(যাদের হবে আরকি) তারা পুরো বই পড়লে কোনো সমস্যা হবে না। মোটামুটি সবকিছু বুঝতে পারবেন।
স্টোরিলাইনটা খুব সুন্দর। লেখিকার লেখার ধরন সম্পর্কে যদি বলি, তবে লেখার ধরন আমার পছন্দ হয়েছে। সাবলীল লেখনশৈলী। বইয়ের এই দুটি জিনিসই আমার খুব ভালো লেগেছে।
এবার সমালোচনায় আসি। তদন্তে অপেশাদারিত্বের ছাপ লক্ষনীয়। প্রধান চরিত্র আবরার ফাহাদের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করেছেন লেখিকা। এজন্যই গণ্ডগোল বেঁধেছে। মূল চরিত্রকে ডেভোলপ করতে করতে অতিমাত্রায় সক্রিয় করে ফেলায় গৌণ চরিত্রগুলোকে একেবারে দূর্বল বানিয়ে ফেলে ফেলেছেন।
সিআইডি টিমের একজন ব্যস্ত ছিলেন কুরিয়ান মুভির উদাহরণ আর তুলনা নিয়ে৷ অন্যজন ছিলেন ইন্ডিয়ান মুভির বিভিন্ন সিন বা স্টোরিলাইন বর্ণনা নিয়ে। প্রফেশনাল সিআইডি ইনভেস্টিগেটর হওয়া স্বত্ত্বেও এতোটা অপেশাদারিত্বের পরিচয় তারা দিয়েছেন যা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবরার ফাহাদ বাদে আর কাউকে তদন্তে খুব একটা মাথা খাটাতে দেখা যায়নি৷ অবন্তি চরিত্রটাকে শুধু দু'বারই মাথা খাটাতে দেখেছি। আর কেউই কিছু করেনি। সবাইকে শুধু কথোপকথনের জন্যই বোধহয় রাখা হয়েছিল।
যেহুতু এটি একটি মেডিকেল থ্রিলার সেহুতু বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও থিওরি আসবে। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম না যদিও তবে বৈজ্ঞানিক টার্মগুলো একটু-আধটু বোঝার চেষ্টা করেছি। যেগুলো বুঝিনি সেগুলো ইন্টারনেটে ঢু মেরে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে টুকটাক আর্টিকেল ও অর্থ, বিশ্লেষণ পড়ে যতোটুক বোঝার বুঝেছি। স্কুলের বিজ্ঞান বইতে শেখানো কিছু টার্ম খুঁজে পেয়েছি বইতে। অনেক বছর আগে সেসব পড়ায় পুরোনো স্মৃতি ফিরে পেয়েছি। স্কুলের পুরোনো স্মৃতি!
বইতে একটি কোডের উল্লেখ আছে যেটি ডিকোড করার ডিস্ক্রাইভও দেওয়া হয়েছে। সেখানেই একটা ভুল পেয়েছি।
বই থেকে, "......এক দিনের মাঝেই যখন বাসার ঠিকানায় আসা অদ্ভুত পার্সেলের ভেতরে থাকা ছোট্ট কাগজের লেখার মর্মোদ্ধার করতে পারল, আত্মবিশ্বাস যেন এভারেস্টের চূড়ায় পৌছে গেল। কাগজে লেখা ছিল-- You are invited 117739'14 2111616L 11251122519 12113"
এরপর এই কোডটি ডিকোড করার ডিসক্রিপশন দেওয়া হয়। কোডের প্রথমে স্থান, দ্বিতীয়তে তারিখ ও তৃতীয়তে সময় বোঝানো হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয়টা Encode-Decode software বসানোর পর ফলাফল একই আসে। কিন্তু প্রথমটা ডিকোড করতেই ঘটে বিপত্তি। প্রথমটা ডিকোড করলে বইতে বলা হয়েছে, সেটা 'Nanny's School'. কিন্তু ডিকোডে সেটি আসেনি। এসেছে, 'NANNY'S SCHSSL' আমি প্রথমে ভেবেছিলাম সফটওয়্যারই সম্ভবত ভুল দেখাচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে ঘুরে দেখার পর পর মোটামুটি বুঝতে পারলাম, ভুলটা সফটওয়্যারের না ভুলটা বইয়ের। সম্প্রতি একটি আপু তার পোস্টে খুব সুন্দর করে একেকটি ডিকোডের বর্ণনা দিয়েছিলেন। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র না হওয়ায় ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে পারছি না। সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলাম। বইতে নীলচে খাঁজযুক্ত আঁচিলের একটা ব্যাপার উল্লেখ আছে।
বই থেকে, "আধো সম্মোহিত আধো জাগরিত অবস্থায় খুব কাছ থেকে যেই নীলচে খাঁজযুক্ত আঁচিল দেখেছে সে, তা একজন ক্যান্সার পেশেন্ট ছাড়া আর কারো হতেই পারে না।"
ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর নীলচে খাঁজযুক্ত আঁচিল হয় সেটা আমার জানা না থাকায় ক্যান্সারের নির্দেশনা ও বিভিন্ন লক্ষণ জানতে আবারও ইন্টারনেটে ঢু মারতে থাকি। কিন্তু আফসোস, এমন কিছুরই উল্লেখ আমি কোথাও পাইনি। এটি আদৌ যদি হয়ে থাকে তবে কেউ যদি জেনে থাকেন তাহলে আমাকেও একটু অবগত করবেন।
অন্বেষা প্রকাশনের প্রডাকশন নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন বোধহয় নেই। পৃষ্ঠার মান ও বাঁধাই দুটিই প্রশংসনীয়। বইয়ে বানান ভুল খুব একটা পাইনি। সম্পাদক ও প্রুফ রিডারকে বিশেষ ধন্যবাদ সেজন্য।
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন, আদনান আহমেদ রিজন। তার করা প্রচ্ছদটাও পছন্দ হয়েছে বেশ। তবে বইয়ে ব্যবহৃত এলিমেন্টকে সাজিয়ে যদি মতামত দেই তাহলে বলব, স্টেথোস্কোপটার আশেপাশে আরও কিছু এলিমেন্ট ব্যবহার করে প্রচ্ছদকে আরেকটু আকর্ষণীয় করা যেতো। তারপরও কাজটা ভালোই হয়েছে। আদনান আহমেদ রিজনের প্রায় সব কাজই মোটামুটি ভালোই হয়।
থ্রিলার আমার পছন্দের জনরা না। তবুও কি মনে করে বইটা হাতে নিলাম। বইয়ের প্লটটা বেশ ভালো ছিলো। বইটির আপাদমস্তক মেডিক্যাল সম্পর্কিত তথ্যসূত্র দিয়ে ভরপুর। শুরু থেকে শেষ অবধি একটা টানটান উত্তেজনা ছিলো,যার কারণে বইটা শেষ না করে উঠতেই ইচ্ছে করছিলোনা। বইয়ের কয়েকটা ব্যাপার এদিক-ওদিক লেগেছে যেমন- আবরার (পেশায় ডাক্তার) চরিত্রকেই যেন সবজান্তা হিসেবে কেস সলভ করার জন্য ঠেলেঠুলে দেওয়া হয়েছে! বাকি চরিত্র গুলো কেমন বোকা বোকা থেকে গেছে। অথচ ওদের কিছুটা হলেও ভূমিকা থাকা উচিত ছিল। একজন একাই পুরো কেসটার রহস্য জেনে বসে আছে,ব্যাপারটা কেমন বেমানান ঠেকছেনা? আরেকটা দিক ও বিরক্ত লেগেছে - কথায় কথায় অবন্তির হিন্দি সিনেমার রেফারেন্স টানা টা! একজন এএসপি-কাম-ডিটেকটিভ হয়েও অবন্তি চরিত্রটিকে বেশ বোকা বোকা রাখা হয়েছে! এদিক গুলো ছাড়া পুরো বইটা বেশ উপভোগ্য ছিল।
লেখিকার সাথে এই প্রথম পরিচয়। বরাবর কেমন লেখেন জানিনা। আমার কাছে পড়তে ভালোই লেগেছে। "বেশ ভালো" লাগবে এমনটা কথা দিতে পারছিনা,তবে সময় কাটানোর জন্য বইটা তুলে নেওয়ায় যায়! এটি কোনো রিভিউ নয়,শুধু আমার পাঠ্য অনুভূতি জানালাম মাত্র! ধন্যবাদ সবাইকে।
3.9/5 First medical thriller of Bangladesh and it didn't disappoint me. Though I felt the plot was way too dramatic and there were some unnecessary complex descriptions, it was worth the read. If you're somewhat interested in reading 'Medical Thriller' genre, I would recommend you to have a go at it. You also need to have patience to finish this book because as I said earlier there are some unnecessary writings, which might sometimes give you childish persona
সুপিরিওর কমপ্লেক্সের সাথে অনেক আগে থেকেই পরিচিত হলেও ইনফিরিওরিটির সাথে তেমন পরিচিত ছিলাম না। তাই বইটা দেখার সাথে সাথেই পড়ার ইচ্ছা হয়েছিলো। তার উপর আবার দেখি মেডিকেল থ্রিলার, তখন তো আর মিস দেয়া যায়না। . গল্পের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই যে কুহেলি নামক একটা মেয়েকে, যে ক্রনিক ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠেছে মাত্র। তার জীবনে সে প্রচুর বডি শেমিং এবং বুলিংয়ের শিকার কারন সে তথাকথিত সমাজে সুন্দরী নয় বলে। একইদিকে তখন শহরে এক সিরিয়াল কিলারের আগমণ ঘটে। বয়স, উচ্চতা, পেশা, ধর্ম, বর্ণ, জাত কোনকিছুর ভিত্তিতেই খুনের মোটিভ মিলাতে পারছেনা সিআইডি অফিসাররা। ঠিক এখান থেকেই গল্প এগোতে থাকে। চাইলে পড়ে নিতে পারেন।
তিন তিনটা খুন। খুন তিনটার মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে কোনো সম্পর্ক নেই। শিকারদের পেশা, বয়স, লিঙ্গ, প্রকৃতি, ধর্ম কোন কিছুর সাথেই সম্পর্ক নেই। একমাত্র সম্পর্ক ছোট বাচ্চাদের রাইম বুক। খুন তিনটা নিয়ে নাজেহাল পুলিশ।এই সিরিয়াল কিলারকে ধরার জন্য বিশেষ একটি গোয়েন্দা দল গঠন করেছে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। সেই গোয়েন্দা দলের একজন ডাক্তার আবরার ফাহাদ। ডাক্তার হওয়ার পরও তাকে দলে নেওয়ার কারণ প্রত্যেকটা খুনই করা হচ্ছে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থর সাহায্যে। খুন কিন্তু থেমে নেই, কিছুদিন পর পর বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার ব্যাক্তি একইভাবে খুন হচ্ছেন। শিকারদের লিস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে হোটেলের রিশেপশনিস্ট,সিএনজি চালক, বাচ্চা সবাই আছে। সবার ডেথ স্পটে পাওয়া যাচ্ছে একটা করে রাইম বুক। . কুহেলী। বাহ্যিকভাবে নিতান্তই অসুন্দরী তরুনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। মানুষের বাহ্যিক রূপ তো আর কেউ নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, তাহলে মানুষ কেন তাকে বাহ্যিক রূপ দেখে বিচার করে? এই প্রশ্নের উত্তর সে কিছুতেই খুজে পায় না। পদেপদে তাকে সম্মুখীন হতে হয় কট্টর বর্ণবাদী আচরনের। এই নিষ্ঠুরতা থেকে কি তার মুক্তি নেই? . . ব্যক্তিগত অভিমতঃ গল্পের প্লট সত্যিই অসাধারণ। গল্প এগিয়েছেও বেশ গোছালো ভাবে। দুইটা গল্প প্যারালালি বেশ সুন্দরভাবে এগিয়েছে। লেখার ধরনও অত্যন্ত সাবলীল, কিন্তু হঠাৎ কোন কারন ছাড়াই কিছু দুর্বোদ্ধ শব্দের প্রয়োগ গল্পের গতিকে খানিকটা মন্থর করেছে। তাছাড়া গল্পের মাঝে মাঝে হিন্দী এবং কোরিয়ান মুভি এবং সিরিয়ালের রেফারেন্সে সত্যিই বেশ বিরক্ত হয়েছি। কারোও কারোও হয়ত এটা ভালোও লাগতে পারে। তাছাড়া অবন্তি চরিত্রটার মধ্যে ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের খানিকটা প্রভাব রয়েছে। যেটা আমার বিরক্তির আরেকটা কারন, তবে আবারও বলছি এটা কারো কারো কাছে ভালো লাগতে পারে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে অবন্তি চরিত্রটাকে জোড় করে গল্পে ঢোকানো হয়েছে।আর ফাহাদের চরিত্রটার মধ্যে একটা সবজান্তা সবজান্তা ভাব আছে, যেটা অন্তত আমার ভালো লাগে নাই।পড়ার পর মনে হয়েছে অন্যান্য চরিত্রগুলোকে এমনিই ইনক্লুড করা হইছে, গল্পে তাদের জোড়ালো কোন ভূমিকা নেই। আবরার একাই যথেষ্ঠ ছিল কেস সলভ করার জন্য। এই বিষয়গুলোকে বাদ দিলে গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে।আমার পড়া লেখিকার প্রথম বই এটা। লেখিকারও সম্ভবত প্রথম দিককার বই। আশা করছি সামনের বইগুলো আরো অনেক বেশী ভালো লাগবে।
মেডিকাল থ্রিলার হিসেবে বেশ ভালোই লেগেছে। এর কাহিনী আমাকে মালায়ালাম মুভি "ফরেনসিক" এর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকবার। বাংলাদেশে মেডিকাল থ্রিলারের গোড়াপত্তন করাতে তাকে সাধুবাদ জানানোই যায়। তবে এই বইয়ের কিছু ত্রুটি রয়েছে। যেমন, সালফারের পারমাণবিক সংখ্যা লিখতে তিনি ভুল করেছেন, যেটা বিস্ময়কর। আশা করা যায় পরবর্তী মুদ্রণগুলোতে সংশোধিত হবে। এছাড়াও থ্রিলার হলেও লেখার মধ্যে অতিরিক্ত অলঙ্কারের প্রয়োগটা কিছুটা বিরক্তিকরই। আর সবশেষে, প্রচুর সম্ভাবনা দিয়ে শুরু হলেও বেশ দ্রুতই কাহিনী শেষ হয়েছে। আমার মনে হয়, বইটিকে অনায়াসে আরো কলেবরে বাড়ানো যেত। সবমিলিয়ে লেখিকা আশা করি ভবিষ্যৎ প্রজেক্টগুলোতে আরো পক্ব হয়ে উঠবেন।
বইটা পড়ে শেষ করলাম। স্টোরিটা ভালো। লেখিকা অনেক রিসার্চ করেছে এটা বোঝা গেছে। গল্পটাও ইউনিক ছিল। অনেক অনেক ইনফরমেশন আছে বইতে। যদি শুধুমাত্র স্টোরির দিক থেকে চিন্তা করি তাহলে বেশ ভালো বই বলা যায়।
তবে প্রচুর অপ্রচলিত, অপ্রয়োজনীয় খটমটে শব্দের ব্যবহার রয়েছে। যেটা স্টোরি টেলিংকে সহজবোধ্য করেনি। সংলাপ রচনায় ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে পুরো বই জুড়েই। জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন কোরিয়ান আর মাঝেমাঝে বলিউড মুভির উদাহরণ দেয়াটা লজিক্যাল মনে হয়নি। বিশেষ করে উচ্চপদস্থ কোনো ইনভেস্টিগেটিং অফিসারের মুখে তো মোটেও মানানসই লাগেনি। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের যে দৃশ্যগুলো এসেছে এখানকার সংলাপ রচনা ছিল মোটামুটি হাস্যকর মানের। গল্পের প্রোট্যাগনিস্ট বাদে বাকি যেসব অফিসাররা ছিল তাদের মাথায় গোবর ভর্তি। আল্লাহ জানে তারা কেমনে পুলিশ হইছে! তাও আবার অতবড় অফিসার! থ্রিলার উপন্যাসে গল্পের প্রয়োজনে প্রেম ট্রেম আসে মাঝেমধ্যে। কিন্তু লেখিকা দ্বিতীয় অধ্যায় থেকেই আমাদের প্রোট্যাগনিস্টকে মোটামুটি জোর করে হলেও প্রেমে ফেলে দিয়েছেন, যার সাথে উপন্যাসের কোনো সম্পর্কেই নেই বলা চলে। রিসার্চ করা আর সেইসব তথ্য বইয়ে উপস্থাপন করার মাঝে বিস্তর ফারাক রয়েছে। লেখিকা বইতে যেভাবে তথ্য উপস্থাপন করে যাচ্ছিলেন তাতে বইটাকে উপন্যাস নয় বরং একাডেমিক বই মনে হতে পারে অনেকের। এই তথ্যগুলোই আরেকটু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলে বইয়ের সাবলীলতা আরো বাড়ত। ছোটখাটো কিছু তথ্য সামনে আনার জন্যও লেখিকা একগাদা বর্ণনা বা অপ্রয়োজনীয় গল্পের সৃষ্টি করেছেন। যা কেবল বইয়ের সাইজই বৃদ্ধি করেছে।
একটা ভালো স্টোরি হলেই, একটা ভালো উপন্যাস হয়ে যায় না। উপন্যাসে গল্পের পাশাপাশি চরিত্রায়ন, গল্পের ডেভেলপমেন্টসহ অন্যান্য আরো কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হয়। গল্প সাবলীলভাবে উপস্থাপন করতে হয়। এই বইটিতে ঠিক এই বিষয়গুলোই মিসিং ছিল। প্রোট্যাগনিস্ট একাই দুনিয়ার সব জানে আর বাকিদের কোনো ভূমিকাই নেই, এভাবে ভাবাটাও হাস্যকর একটা ব্যাপার। লেখিকা এই ভুলগুলো শুধরে নিতে পারলে ভবিষ্যতে লেখালেখিতে অনেক ভালো করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
"......'সৌন্দর্য অভ্যন্তরীণ, বাহ্যিক নয়' বা 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি' বলে মুখে ফেনা তোলা প্রচণ্ড রকম দ্বিমুখী সমাজ কখনোই ভেতরে ভেতরে প্রথাগত সৌন্দর্যের সংজ্ঞা অনুযায়ী 'অসুন্দরী'দের যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়নি....." ☞ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স কি??? সোজা কথায় বলতে গেলে, বাহ্যিক সৌন্দর্যহীনতার কারণে প্রতি মুহূর্তে নিজেকে অন্যদের চেয়ে ছোট মনে করা হচ্ছে প্রাইমারি ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স। ➤উপন্যাসের শুরুতেই পাঠক যে চরিত্রের সাথে পরিচিত হবেন তার নাম 'কুহেলি'। প্রথাগত বিচারে অসুন্দরি কুহেলি নামের মেয়েটি ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স রোগে আক্রান্ত। সবকিছু ভুলে যখনই সে চায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে, তখনই সে শিকার হয় সোশ্যাল বুলিং আর বডি শেমিং এর। বারবার চেষ্টা করেও সে ব্যর্থ হতে থাকে ক্রনিক ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার। ➤এদিকে ঢাকা শহরের বুকে ঘটে যেতে থাকে এক অদ্ভুত সিরিয়াল কিলিং। লাশের পাশে পাওয়া যায় নার্সারির বাচ্চাদের ছড়ার বই। সেই বইয়ের পৃষ্ঠায় পাওয়া যায় ইনভিজিবল ইংক দিয়ে লেখা এলোমেলো কিছু শব্দ। সবচেয়ে অবাক করা কাণ্ড হচ্ছে প্রতিটা লাশের আশেপাশে লুকায়িত থাকে ঐতিহাসিক ফসিল, যেখানে লেখা থাকে অর্থহীন কিছু শব্দ। ধর্ম, বর্ণ, জাত, বয়স, উচ্চতা, লিঙ্গ, পেশা- কোনোকিছুর ভিত্তিতেই খুনগুলোকে সাজাতে পারে না সিআইডি অফিসাররা। এসময় তাদেরকে সহায়তা করতে প্লটে আগমন ঘটে 'আবরার ফাহাদ' এর। ➤ধীরে ধীরে জট খুলতে থাকে সিরিয়াল কিলিং এর। একটি ঘটনার সাথে অন্য ঘটনার সামঞ্জস্য খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। খুনি কে? কেন সে একের পর এক সাধারণ মানুষকে খুন করছেন? এই প্রশ্নগুলোর সাথে কুহেলির সম্পর্ক খুঁজে বের করতে গিয়ে পাঠক নিজেকে আবিষ্কার করবেন মেডিকাল, সাইন্স আর বিষাক্ত সব গ্যাসের এক ভিন্নধর্মী থ্রিলার প্লটে। ✘পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ মেডিকাল থ্রিলার খুব একটা পড়া হয় না। কিন্তু উপন্যাসটি যখন পড়ছিলাম, বেশ ভালই লাগছিল। প্রতিটা খুনের সূক্ষ্ণ সূক্ষ্ণ জিনিসগুলোকে লেখক বিশ্লেষণ করেছেন। এই অংশগুলো থেকে অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছি। অন্যদিকে বর্তমানের সবচেয়ে সমালোচ��ত অপরাধ, বডি শেমিং এবং সোশ্যাল বুলিং এর খারাপ দিকটা তিনি তুলে ধরেছেন তার উপন্যাসে। ⚠️কিন্তু শেষের দিকে এসে একটি বড়সড় ভুল চোখে পড়ে। একটি কোড ডিকোড করতে গিয়ে পর্যায় সারণীর মৌলগুলোর সাথে কোডের অসামঞ্জস্য দেখা যায়। খুনীকে ধরতে অথবা খুনী পর্যন্ত পৌঁছাতে কোডটির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। তাই এই ধরণের ভুলের দিকে লেখক পরবর্তীতে আরো সতর্ক হবেন বলে আশাবাদী। ☞উপন্যাসটির উৎসর্গ নিয়ে কথা না বললেই নয়। তিনি উপন্যাসটি উৎসর্গ করেছেন শহীদ 'আবরার ফাহাদ'-কে। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েট শিক্ষার্থী, আবরার ফাহাদকে র্যাগিংয়ের নামে পিটিয়ে হত্যা করা হয়৷ তাই তিনি গোয়েন্দা গল্পের নায়ক চরিত্রে 'আবরার ফাহাদ' নামটি ব্যবহার করেছেন। ভুলের অংশটুকু বাদ দিলে উপন্যাসটি পড়ে বেশ ভালই লেগেছে আমার। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪/৫ বইয়ের নামঃ ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স জনরাঃ মেডিকেল থ্রিলার লেখকঃ মালিহা তাবাসসুম প্রকাশনীঃ অন্বেষা মলাট মূল্যঃ ৩৫০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৯১
বইটা পড়ে শেষ করলাম। স্টোরিটা ভালো। লেখিকা অনেক রিসার্চ করেছে এটা বোঝা গেছে। গল্পটাও ইউনিক ছিল। অনেক অনেক ইনফরমেশন আছে বইতে। যদি শুধুমাত্র স্টোরির দিক থেকে চিন্তা করি তাহলে বেশ ভালো বই বলা যায়।
তবে আগেই যেটা বলেছিলাম যে প্রচুর অপ্রচলিত, অপ্রয়োজনীয় খটমটে শব্দের ব্যবহার রয়েছে। যেটা স্টোরি টেলিংকে সহজবোধ্য করেনি। সংলাপ রচনায় ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে পুরো বই জুড়েই। জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন কোরিয়ান আর মাঝেমাঝে বলিউড মুভির উদাহরণ দেয়াটা লজিক্যাল মনে হয়নি। বিশেষ করে উচ্চপদস্থ কোনো ইনভেস্টিগেটিং অফিসারের মুখে তো মোটেও মানানসই লাগেনি। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের যে দৃশ্যগুলো এসেছে এখানকার সংলাপ রচনা ছিল মোটামুটি হাস্যকর মানের। গল্পের প্রোট্যাগনিস্ট বাদে বাকি যেসব অফিসাররা ছিল তাদের মাথায় গোবর ভর্তি। আল্লাহ জানে তারা কেমনে পুলিশ হইছে! তাও আবার অতবড় অফিসার! থ্রিলার উপন্যাসে গল্পের প্রয়োজনে প্রেম ট্রেম আসে মাঝেমধ্যে। কিন্তু লেখিকা দ্বিতীয় অধ্যায় থেকেই আমাদের প্রোট্যাগনিস্টকে মোটামুটি জোর করে হলেও প্রেমে ফেলে দিয়েছেন, যার সাথে উপন্যাসের কোনো সম্পর্কেই নেই বলা চলে। রিসার্চ করা আর সেইসব তথ্য বইয়ে উপস্থাপন করার মাঝে বিস্তর ফারাক রয়েছে। লেখিকা বইতে যেভাবে তথ্য উপস্থাপন করে যাচ্ছিলেন তাতে বইটাকে উপন্যাস নয় বরং একাডেমিক বই মনে হতে পারে অনেকের। এই তথ্যগুলোই আরেকটু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলে বইয়ের সাবলীলতা আরো বাড়ত। ছোটখাটো কিছু তথ্য সামনে আনার জন্যও লেখিকা একগাদা বর্ণনা বা অপ্রয়োজনীয় গল্পের সৃষ্টি করেছেন। যা কেবল বইয়ের সাইজই বৃদ্ধি করেছে।
একটা ভালো স্টোরি হলেই, একটা ভালো উপন্যাস হয়ে যায় না। উপন্যাসে গল্পের পাশাপাশি চরিত্রায়ন, গল্পের ডেভেলপমেন্টসহ অন্যান্য আরো কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হয়। গল্প সাবলীলভাবে উপস্থাপন করতে হয়। এই বইটিতে ঠিক এই বিষয়গুলোই মিসিং ছিল। প্রোট্যাগনিস্ট একাই দুনিয়ার সব জানে আর বাকিদের কোনো ভূমিকাই নেই, এভাবে ভাবাটাও হাস্যকর একটা ব্যাপার। লেখিকা এই ভুলগুলো শুধরে নিতে পারলে ভবিষ্যতে লেখালেখিতে অনেক ভালো করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
১৯১ পৃষ্ঠার এই বইটি এক বসাতেই শেষ করলাম। এখানে প্রচুর মেডিক্যাল নলেজের কথা আছে। মেডিকেল নলেজ, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি সবকিছুর মিশ্রণে মোটামুটি ভালোই লেগেছে। পাঠক খুব দ্রুতই বুঝতে পারবে খুনীর মোটিভ সম্পর্কে। আপাতদৃষ্টিতে খুনীকে বুঝতে পারলেও একটু পরেই ভুল ভেঙে যাবে। লেখিকা এই বইটি বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে উৎসর্গ করে লিখেছেন এবং ফরেনসিক বিভাগের অফিসারের নাম দেন আবরার ফাহাদ। এছাড়াও লেখিকা এখানে বেশকিছু মেটাফোরও ব্যবহার করেছেন। খুনী যে ক্লুগুলো ছেড়ে যাচ্ছিল ওগুলো বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। তবে একটা সময় মনে হয়েছে এখানে সিআইডি অফিসারদের কোনো কাজ ছিল না কারণ সবকিছুই ড.ফাহাদ-ই করছেন। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ক্লু ধরা থেকে শুরু খুনী ধরা পর্যন্ত সব ড.ফাহাদ-ই করেছেন। আর অন্যকোনো চরিত্রের তেমন কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি। মাঝে মাঝে নবীন সিআইডি অফিসার অবন্তীর প্রতি ফোকাস আনলেও তেমন কোনো ভূমিকা তিনি পালন করেননি।
নবীন লেখিকা হিসেবে লেখার মান ভালো। প্লট নিবার্চন ও ভালো ছিল। যেহেতু কেউ-ই ভুলের উর্ধ্বে নয়, তাই বলা যেতে পারে এই বইয়েও বেশ কিছু ভুল ছিল চোখে পড়ার মতো। লেখিকা শেষ দিকে যে পিরিওডিক টেবিলের ব্যবহার করে যে একটা ক্লু দিয়েছেন তাতে একটু অসংগতি আমার চোখে পড়ল। লেখিকা এখানে সালফার এর এর এটোমিক নাম্বার ৭ বা ১৪ এবং অক্সিজেন এর এটোমিক নাম্বার ১৬ দেখিয়েছে যেখানে আমরা জানি সালফার (১৬) এবং অক্সিজেন (৮)। এছাড়াও এক পর্যায়ে এসে আমার মনে হয়েছে আমি কোনো বায়োলজি বই পড়ছি। ডায়ালগ ডেলিভারি একটু দুর্বল লেগেছে। মনে হয়েছে লেখিকা বেশ তারাহুরো করেছেন। আর বইয়ে প্রচুর বাংলিশ শব্দের ব্যবহার। যেহেতু লেখিকার আবরার ফাহাদ নিয়ে এরকম আরও গোয়েন্দা সিরিজ লেখার ইচ্ছে আছে, সেহেতু তিনি যদি এই বিষয়গুলো আরেকটু ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে পরবর্তীতে লেখিকা থেকে আরও দুর্দান্ত কিছু বই আশা রাখছি।
দেশের প্রথম মেডিক্যাল থ্রিলার বা ফরেনসিক থ্রিলার হোক না কেন উপন্যাসটি আমার জন্যে খুব স্পেশাল ছিল৷ কারণ বইয়ের দু-তিন পাতায় উল্টানোর পর উৎসর্গের পাতায় যার নাম লেখা দেখা, সেখানে লেখা থাকে শহীদ আবরার ফাহাদের নাম৷ মানুষ সাধারণত নিজের বাবা-মা, প্রিয়জনদের বই উৎসর্গ করে জানতাম, কিন্তু যখন দেখি নিষ্পাপ একটি ছেলের প্রয়াণকে কেন্দ্র করে তাঁকে উৎসর্গ করা হয়, তখন ভেতর থেকেই লেখিকাকে স্যালুট দিতে ইচ্ছে করে৷ আরেকটা কারণও রয়েছে বটে, কারণ আমার নামও আবরার৷
কুহেলী নামক চরিত্রের ভেতর লেখিকা দক্ষতার সাথে দেখিয়েছেন কিভাবে ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স একজন মানুষকে গ্রাস করে ফেলে, সে হিসেবে এটিকে সাইকোলজিকাল থ্রিলারের ঘরানাতেও ফেলা যেতে পারে৷
ফরেনসিক ইনভেস্টিগেটর আবরার ফাহাদ চরিত্রটাও আমার খুব ভালো লেগেছে৷ এছাড়াও গল্পের গতিশীলতা, চরিত্রের ব্যাপ্তি ও সমাপ্তি;সবকিছুই ছিল অসাধারণ৷
সারাহ ইকবালের ঈশ্বরী বইটি পড়ার পর দ্বিতীয় কোন থ্রিলার লেখিকার বই পড়লাম৷ এবং আমি সত্যিই আনন্দিত, লেখিকারা ইদানীং থ্রিলার জগতে প্রবেশ করছে দেখে৷ লেখিকার জন্যে শুভকামনা ✌️✌️
আসলে সাড়ে তিন দেওয়া যায়। খুব সুন্দর একটা প্লট, শেষের দিকে যেন হঠাত করেই শেষ হয়ে গেল। বাংলা ভাষায় নতুন লেখক-লেখিকাদের মাঝে কেউ কেউ থ্রিলার লিখছে এটা একটা ভালো দিক। লেখিকার বয়স বিবেচনা করলে সম্ভাবনাময়ী লেখিকা। এভাবে লিখতে থাকলে গল্প বলার ধরন ধীরে ধীরে আরও পরিণত হবে। থ্রিলারের স্বাদও বাড়তে থাকবে।
সর্বোপরী উপভোগ করেছি থ্রিলারটা, এটাই যথেষ্ট। লেখায় লেখিকার পড়াশুনার আর পরিশ্রমের ছাপ রয়েছে। আর এই বইটা আমি লেখিকার আগের লেখা "জিগোলো" পড়ে আগ্রহ জন্মানোর পরই পড়লাম।
বইয়ের প্লটটা বেশ ভালো লেগেছিলো। এজন্যই বইটা পড়ার জন্য হাতে তুলে নেওয়া। তবে মেডিক্যাল থ্রিলার হিসেবে অতটাও ভালো ছিলো না। অনেক জায়গায় অনেক মেডিক্যাল রেফারেন্স আনা হলেও, জিনিসটা অনেকটা জোর করে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে হলো। ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ছিলোই না বলা যায় আর লেখনী একটুও ভালো লাগেনি। মূলত একজন চরিত্রই সব ক্লু খুঁজে খুঁজে বের করছিলো আর শুধু শুধু বলিউড আর কে-ড্রামার রেফারেন্স পড়তে অসহ্য লেগেছে। তবে উৎসর্গটি অনেক ভালো লেগেছে।
গল্পটি কুহেলি নামের এক মেয়েকে ঘিরে কিছু খুনের রহস্য নিয়ে। মেডিক্যাল থ্রিলার হিসেবে শুরুটা যথেষ্ট ভালো লেগেছিল। কিন্তু সময়ের সাথে অতিরিক্ত টেকনিক্যাল শব্দের প্রয়োগ, খুব বেশী তথ্যবহুল আলোচনা, পারিবারিক কথোপকথনে বেশ নাটকীয় সংলাপ, বহুল আলোচিত খুনের ইনভেস্টিগেশন অফিসারদের কথায় বারবার বলিউড আর কোরিয়ান সিনেমার উল্লেখ - এসব দেখে গল্পটা শেষ করার ধৈর্য্য থাকছিল না। এগুলো ছাড়াও ছিল বেশ কিছু অসামঞ্জস্য। পরবর্তী লেখার জন্য লেখিকার প্রতি শুভকামনা রইল।
প্লট ভালো তবে পড়ে মনে হল যেন অনেক মসলা দিয়ে জম্পেশ করে বিরিয়ানি রাঁধতে যেয়ে আধা সিদ্ধ অবস্থায় নামিয়ে ফেলা হয়েছে। লাইনে লাইনে কঠিন কঠিন উপমা দেয়া আর সব চরিত্রের হিন্দি, তামিল, কোরিয়ান মুভি আর সিরিয়ালের রেফারেন্স দেয়াটা বালখিল্য লেগেছে। মুভি প্রেমী একটা চরিত্র এমন করলে খারাপ লাগেনা, কিন্তু সব চরিত্র এমন করলে পড়তে বাধে খুব।